২০২৫ সালে পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী আইসিসি। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সেখানে অনুষ্ঠিত হবে বলে বিশ্বাস তাদের। এ মেগা টুর্নামেন্ট পাকিস্তানে আয়োজিত হবে বলে গত সপ্তাহে নির্ধারিত হয়। ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপের পর এ প্রথম আইসিসির কোন ইভেন্ট সেখানে হবে।
গত সপ্তাহে ভারতের ক্রীড়ামন্ত্রী ও সাবেক বিসিসিআই সভাপতি অনুরাগ ঠাকুর বলেন, পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত অংশ নেবে কীনা, তা ভারত সরকার কর্তৃক পাকিস্তানের নিরাপত্তা অবস্থা বুঝে তারপর জানা যাবে।
আইসিসির চেয়ারম্যান জর্জ বার্কলে জানাঃ
পাকিস্তানে অবশ্যই আয়োজন সম্ভব। গত কয়েক বছর ধরে সেখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহের আলোচনায়ও সে বিষয়টি এসেছে।’ ‘যদি পাকিস্তানে আয়োজন সম্ভব না হতো, তাহলে সেখানে ইভেন্ট আয়োজনের চিন্তা ভাবনা করতাম না। দীর্ঘ সময় পর সেখানে এত বড় একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করাটা তাদের জন্য অনেক বড় সুযোগ। আমি নিশ্চিত, তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট হয়ে সব দলই অংশ নেবে। আমরা আত্নবিশ্বাসী ও নিশ্চিত, সেখানে টুর্নামেন্ট হবে।’
পাকিস্তানে নিরাপত্তা ইস্যুতে এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সেখানে যায়নি নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের পর ইংল্যান্ডও একই পথ অবলম্বন করে। এ নিয়ে চরম বিতর্ক হয়েছিল।
‘আমরা জানি, এটা বেশ চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার’ পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ব্যাপারে এ কথা বলেন বার্কলে। ‘আমার দৃষ্টিকোণ থেকে আমি ভূতাত্বিক রাজনীতি নিয়ে কিছু করতে পারবো না। আমি শুধু এটাই আশা করবো, ক্রিকেট যেন তাদের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নতি ঘটায়।’
‘খেলাধুলার অন্যতম বড় গুণ হচ্ছে, এটি বিভিন্ন জাতিকে একত্রীকরণে সহায়তা করে। আমরা যদি ছোট পরিসরেও এক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারি, তবে তা আমাদের জন্য দারুণ হবে।’