২১২ রান করে ৩০ জনকে টপকে সেরা অবস্থানে মায়াঙ্ক আগরওয়াল

নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত বোলিং করার পুরস্কার পেলেন ভারতের এক নম্বর অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। নিউজিল্যান্ড সিরিজে ভালো পারফরম্যান্সের পুরস্কার স্বরূপ অশ্বিন ৪৩ রেটিং পয়েন্ট সংগ্রহ করেছেন এবং আইসিসি প্রকাশিত পুরুষ বিভাগের টেস্ট অলরাউন্ডারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানীয় অলরাউন্ডার জেসন হোল্ডারের ঠিক পেছনে পৌঁছে গিয়েছেন।

হোল্ডারের থেকে ২২ পয়েন্ট পিছিয়ে এবং তৃতীয় স্থানে থাকা বেন স্টোকসের থেকে ১২ পয়েন্ট এগিয়ে মোট ৩৬০ পয়েন্টে পৌঁছেছেন। বোলারদের তালিকাতেও অশ্বিন দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন। তার সামনে রয়েছেন কেবল প্যাট কামিন্স।

ভারতীয় ওপেনার ময়ঙ্ক আগরওয়াল এবং নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি স্পিনার এজাজ প্যাটেল ব্যক্তিগত বিভাগে ভালো পারফরম্যান্সের কারণে র‌্যাঙ্কিংয়ে অনেকটাই উঠে এসেছেন। কানপুরে একটি মাঝারি মানের পারফরম্যান্সের পর, ময়ঙ্ক মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টের উভয় ইনিংসে ১৫০ এবং ৬২ রানের ইনিংস খেলেন। মোট করেছেন ২১২ রান।

টার্নিং পিচে মায়াঙ্কের দুর্দান্ত ইনিংস ভারতকে দ্বিতীয় টেস্ট জিততে এবং ১-০ তে সিরিজ জয় করতে সাহায্য করেছিল। পুরুষদের র‌্যাঙ্কিংয়ে সর্বশেষ সাপ্তাহিক আপডেটে মায়াঙ্ক ৩০ ধাপ এগিয়ে ১১ তম স্থানে উঠে এসেছেন।

শুভমান গিলও ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করার কারণে ২১ ধাপ এগিয়ে স্থান লাভ করে ৪৫ তম স্থানে উঠে এসেছেন। পেসার মহম্মদ সিরাজও উঠে এসেছেন ৪১ তম স্থানে। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যান ড্যারিল মিচেলও ২৬ ধাপ এগিয়ে ৭৮তম স্থানে রয়েছেন।

অন্যদিকে, এজাজ, মুম্বাই টেস্টে এক ইনিংসে স্মরণীয় ১০ উইকেট নেওয়ার পরে টেস্ট বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে ২৩ ধাপ এগিয়ে ৩৮ তম স্থানে উঠে এসেছেন। দ্বিতীয় টেস্টে এজাজ পুরো ভারতীয় দলকে নাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তার দুর্ভাগ্য যে কিউয়ি ব্যাটসম্যানরা তার লড়াইকে মর্যাদা দিতে পারেননি।

ইংল্যান্ডের স্পিনার জিম লেকার ছিলেন প্রথম খেলোয়াড় যিনি ১৯৫৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাশেজ টেস্টে ১০ টি উইকেট নিয়েছিলেন। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং প্রাক্তন কোচ, অনিল কুম্বলে ১৯৯৯ সালে অভিজাত তালিকায় যোগদান করেছিলেন যখন তিনি দিল্লিতে ১০ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন আপকে ধ্বংস করেছিলেন।

কিন্তু এজাজ একজন সেনা বোলার হয়েও টেস্টের প্রথম দুই দিনে এই কীর্তি করে দেখিয়েছিলেন। ফলে তার কৃতিত্ব অনেকটাই বেশি বলে মনে করেন অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *