১৫ দিনের সময় দেওয়া হলো ধোনিকে

নয়ডার (Noida) আম্রপালি হাউজিং কমপ্লেক্সে ফ্ল্যাট বুক করেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি (Mahendra Singh Dhoni)। একটি নয়, দুটি। কিন্তু বকেয়া বাকি ছিল। আর সেই বকেয়া টাকা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে শোধ করতে হবে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ককে।

অন্যথায়, বুকিং বাতিল হবে। সম্প্রতি ধোনিকে এই সংক্রান্ত নোটিসই পাঠানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত রিসিভার আর ভেঙ্কটরামানির তরফ থেকে। শুধু ধোনি নয়, আরও ১৮০০ ক্রেতাকেই এই নোটিস পাঠানো হয়েছে।

সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ধোনি-সহ ওই আম্রপালি হাউজিং কমপ্লেক্সে যাঁরা যাঁরা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করবেন না, তাঁদের বুকিং বাতিল করা হবে।

আর সেক্ষেত্রে এই সময়সীমার মধ্যে প্রত্যেককে বুকিংয়ের টাকা মেটাতে হবে। রাষ্ট্রীয় সংস্থা NBCC এই প্রকল্পটি তৈরি করছে।

যেখানে ৮০০০ কোটি টাকায় ২০টি হাউসিং প্রজেক্ট তৈরি করবে তাঁরা। এরপরই গোটা বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের অধীনে চলে যায়।

নয়ডায় সেক্টর ৪৫-এ আম্রপালি হাউজিং প্রকল্পের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন মহেন্দ্রে সিং ধোনি। তিনি এই প্রকল্পে দুটি ফ্ল্যাটও বুক করেছিলেন।

এই ফ্ল্যাটগুলি হল সেফার ফেজ ১ নম্বরে সি-পি ৫ এবং সি-পি ৬। ধোনির সমস্ত কিছু যারা দেখাশোনা করে সেই রীতি স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান অরুণ পান্ডেও এই আম্রপালি প্রকল্পে ফ্ল্যাট বুক করেছিলেন। ধোনির মতো তাঁরও বকেয়া রয়েছে। তাঁকেও নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে প্রকল্প স্থগিত হয়ে যাওয়ায় ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে আম্রপালির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন ধোনি।

আম্রপালি স্টলড প্রজেক্টস ইনভেস্টমেন্ট রিকনস্ট্রাকশন এস্টাব্লিশমেন্ট (ASPIRE)‌ নামে একটি সংস্থাও তৈরি করা হয়েছিল যাতে নয়ডা এবং বৃহত্তর নয়ডা এলাকায় স্থগিত প্রকল্পগুলির কাজ সম্পন্ন করা যায়।

এরপরই গোটা প্রকল্পটি সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে শুরু হয়। কারণ আম্রপালি গ্রুপের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ ওঠে। এই সংস্থা গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

কিন্তু দিনের পর দিন গ্রাহকরা সংস্থার দোরে দোরে ঘুরলেও কাজের কিছু হয়নি। স্রেফ হয়রান হয়েছে সাধারণ মানুষ। এরপরই বিষয়টি তীব্র বিতর্ক হয়।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *