১৪ বছরের আইপিএল ইতিহাসে ১ম বারের মত যে ১টি রেকর্ড গড়লো ত্যাগী ও মুস্তাফিজ

১২ বলে প্রয়োজন স্রেফ ৮ রান, হাতে উইকেট ৮টি। ১৯তম ওভারে দারুণ বোলিংয়ে দলকে লড়াইয়ে রাখলেন মুস্তাফিজুর রহমান।

শেষ ওভারে অসাধারণ বোলিংয়ে বাঁহাতি এই পেসারকেও ছাড়িয়ে গেলেন কার্তিক তিয়াগি। ৩ রান ডিফেন্ড করে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে রাজস্থান রয়্যালসকে এনে দিলেন অবিশ্বাস্য এক জয়।

আইপিএলের ১৪ বছরের পরিসংখ্যান বলছে, এর আগে কখনোই ঘটেনি এমন ঘটনা। কেননা ১০ রানের কমে শেষ দুই ওভার কোন বোলিং জুটিই ডিফেন্ড করতে পারেনি।

মোস্তাফিজ ও ত্যাগীই প্রথম কোন বোলিং জুটি যারা ১০ রানের কম ডিফেন্ড করে দলকে জিতিয়েছেন।

এছাড়াও এদিন আলাদা একটি রেকর্ডে জায়গা করে নিয়েছেন কার্তিক ত্যাগী। আইপিএলে শেষ ওভারে সর্বোচ নিম্ন রানে ডিফেন্ড করার রেকর্ডে মুনাফের প্যাটেলের পর মাত্র দ্বিতীয় বোলার হিসেবে সর্বনিম্ন ৪ রানে ডিফেন্ড করে দলকে জিতিয়েছেন।

অথচ এদিন নিকোলাস পুরান ও এইডেন মারক্রামের বিস্ফোরক জুটিতে জয়টা ছিল পাঞ্জাবের নাগালেই। শেষের আগের ওভারে মুস্তাফিজ যখন বোলিংয়ে এলেন, ১৭ বলে ৩০ রানে ব্যাটিংয়ে পুরান, ১৬ বলে ২৩ রানে মারক্রাম।

বাঁহাতি পেসারের প্রথম তিন বলে পুরান নিতে পারেন কেবল এক রান। চতুর্থ বলে আউট হতে পারতেন মারক্রাম। ডান দিকে ঝাঁপিয়েও বল গ্লাভসে জমাতে পারেননি সাঞ্জু স্যামসন, আসে এক রান। পরের দুই বলে দুটি সিঙ্গেল।

শেষ ওভারে দরকার ৪। কার্তিকের প্রথম দুই বলে মারক্রাম নেন এক রান। পরের চার বলে আর রানই নিতে পারেনি পাঞ্জাব!

তৃতীয় বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন পুরান। পরের বলে কোনো রান নিতে না পারা দিপক হুডা পঞ্চম বলে ক্যাচ দেন উইকেটকিপারকে।

শেষ বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি ফাবিয়ান অ্যালেন। অবিশ্বাস্য জয়ের উল্লাসে মাতে রাজস্থান। আইপিএলে মঙ্গলবার ২ রানে জিতেছে রাজস্থান। তাদের ১৮৫ রানের জবাবে পাঞ্জাব ৪ উইকেটে করতে পারে ১৮৩।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *