সাড়ে ১৬ বছর পর সেই দুই দল এবার ‘প্রথম’ শিরোপার লড়াইয়ে

১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০০৫-অকল্যান্ডের ইডেন ,পার্কে ইতিহাসের প্রথম পুরুষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হয় নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া। সাড়ে ১৬ বছর পর ,আবারও
দল দুটির লড়াই ইতিহাসের পাতায় ঠাই নিয়ে যাচ্ছে।

কেননা এবার যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের,ফাইনালে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া। এর মাঝে যে দল দুটির দেখা হয়নি তা নয়। তবে ,এবারের লড়াইয়ে নামলেই ইতিহাস হয়ে যাবে।

কেননা এই প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি যাদের দিয়ে ,শুরু হয়েছে, তারা নামবে রাজত্ব দখলের লড়াইয়ে। দুবাইয়ে আজ দল দুটির সামনে সুযোগ ,প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়েরও।

তাসমান সাগরপাড়ের দুই প্রতিবেশির ,ঐতিহাসিক সেই ম্যাচে অকল্যান্ডে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। রিকি পন্টিংয়ের অধিনায়কোচিত, ইনিংসে (৫৫ বলে ৯৮*) নির্ধারিত ২০ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ২১৪।

স্টিফেন ফ্লেমিংরা, সেদিন হেরে যান ৪৪ রানে। ওই ম্যাচের পর অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ,মুখোমুখি হয়েছে আরও ১৪ বার। এর মধ্যে নিউজিল্যান্ড জিতেছে ৪টি, অস্ট্রেলিয়া ৯টি আর ১টি টাই হয়েছে।

নিউজিল্যান্ডের ,চার জয়ের একটি এসেছে ধর্মশালায় ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে, যে ম্যাচটি, নিউজিল্যান্ড জিতেছিল ৮ রানে। এরপরের তিনটি জয় এসেছে চলতি, বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজটি জেতে ৩-২ ব্যবধানে।

যেখানে ,প্রথম চার ম্যাচ ২-২ সমতায় ছিল। আর ওয়েলিংটনে গাপটিল ঝড়ে (৪৬ বলে ৭১) স্বাগতিকেরা ,ডিসাইডার ম্যাচটি জিতেছিল ৭ উইকেট ও ২৭ বল হাতে রেখে। দুই দলের মধ্যে রান সংগ্রাহকের তালিকায়, এক নম্বরে আছেন মার্টিন গাপটিল।

কিউই ডানহাতি ব্যাটার ১২ ম্যাচে ৩৬.২৫ গড়ে করেছেন ৪৩৫ রান। দুই, দলের ব্যাটারদের রয়েছে দুটি সেঞ্চুরি ইনিংস। দুটিই কিউই ব্যাটারদের। সর্বোচ্চ ইনিংসটি ব্রেন্ডন ,ম্যাককালামের ৫৬ বলে ১১৬*। ক্রাইস্টচার্চে ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বিধ্বংসী ইনিংস খেলার পথে ম্যাককালাম ১২টি চারের পাশাপাশি ,হাঁকিয়েছিলেন ৮টি বিশাল ছক্কা। যে ম্যাচটি টাই হলে সুপার ওভারে জয় নিশ্চিত, করেছিল নিউজিল্যান্ড।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংসটি মার্টিন, গাপটিলের। ২০১৮ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি অকল্যান্ডে ৫৬ বলে ৯ ছক্কা ও ৫ চারে ১০৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস ,খেলেছিলেন ‘টু-টোজ’ খ্যাত এই কিউই ওপেনার। যদিও ‘গাপটিল ঝড়’ ম্যাচ শেষে বিলীন হয়ে যায়! কারণ ,এদিন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৪৪ রান তাড়া করে জয় নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া।

দুই দলের বোলিংয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির, তালিকার নামটিও একজন ব্ল্যাকক্যাপসের। ৯ ম্যাচে ৭.৩৮ ইকোনমিতে ১৬ উইকেট নিয়ে এক নম্বরে, আছেন কিউই লেগ স্পিনার ইশ সোধি।

৯ ম্যাচে ৭.১৭ ইকোনমিতে ১৩ উইকেট নিয়ে দুইয়ে আছেন ,অজি স্পিনার অ্যাস্টন অ্যাগার। সেরা বোলিং স্পেলটিও করেছেন অ্যাগার। ২০২১ সালের ৩ মার্চ, ওয়েলিংটনে এই বাঁহাতি স্পিনারের বোলিং ফিগার ছিল, ৪-০-৩০-৪।

এদিকে আজ দুবাইয়ের ফাইনাল ম্যাচটি ,কিউইদের কাছে ‘প্রথম চালে কিস্তিমাতের ম্যাচ’। কারণ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে এবারই প্রথম,ফাইনালে উঠেছে কিউইরা। আর অস্ট্রেলিয়ার কাছে ম্যাচটি হল ‘এক ঢিলে দুই পাখি’ মারার। ‘ধর্মশালার ,প্রতিশোধের’ পাশাপাশি ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণের প্রথম শিরোপা ঘরে তোলার চ্যালেঞ্জ এখন ,অজিদের।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *