ভারত-পাকিস্তান প্রতিবেশী দুটি দেশের মধ্যে বৈরী রাজনৈতিক সম্পর্ক প্রভাব ফেলেছে ক্রিকেটে। তাই এখন আর দুদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ অনুষ্ঠিত হয় না।







সর্বশেষ সিরিজটি আয়োজিত হয়েছিল ২০১২ সালে। ভারতে হওয়া সেই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল পাকিস্তান।
এরপর বেশ কয়েকবার দ্বিপক্ষীয় সিরিজের সম্ভাবনা তৈরি হলেও আলোর মুখ দেখেনি। সোমবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন রমিজ রাজা। নতুন প্রেসিডেন্টের কাছে অনেকেই আশা করছিলেন তার আমলেই অনুষ্ঠিত হবে বহুল প্রতিক্ষিত দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ।
কোন ধরণের মিথ্যা আশ্বাস না দিয়েই পিসিবির নতুন প্রেসিডেন্ট সোজা-সাপ্টা জানিয়ে দিলেন, বর্তমানে ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন করা সম্ভব নয়। আর এই সিরিজটি আয়োজনে তাড়াহুড়াও করতে চায় না পিসিবি।







রমিজ বলেন, ‘বর্তমানে এটি অসম্ভব, কারণ দুই দেশের ক্রিকেটীয় আদর্শ এখন রাজনীতি অনেকটাই গ্রাস করে নিয়েছে।
এখন এটি নিয়ে অত তাড়াহুড়া করতে চাই না। কারণ আমাদের এখন শুরুতেই ঘরোয়া এবং স্থানীয় ক্রিকেটের দিকে নজর দিতে হবে।’
এদিকে ৬ সেপ্টেম্বর আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এদিন বিকেলেই পাকিস্তান দলের প্রধান কোচের পদ থেকে মিসবাহ উল হক ও পেস বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনুস পদত্যাগ করেন।
এরপর নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য আন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় সাকলাইন মুস্তাক ও আব্দুল রাজ্জাককে।







সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তান ম্যাথু হেইডেন ও ভারনন ফিল্যান্ডারকে কোচিং প্যানেলে যুক্ত করেছে। তারা দায়িত্ব পেয়েছেন শুধু বিশ্বকাপের জন্য।
যদিও পাকিস্তান দলে তাদের ভূমিকা কি হবে সেটা এখনও খোলাসা করে কিছু বলেনি পিসিবি। এই দুজনের নিয়োগ নিশ্চিত করেছেন রমিজ।
পাকিস্তানের ক্রিকেট নিয়ে লম্বা সময়ের পরিকল্পনা রয়েছে এই সাবেক অধিনায়কের। আগামী ৩ বছরের জন্য তিনি নিজের কর্ম পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন।







রমিজ এই দুই কোচের নিয়োগ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমি ভারননের সম্পর্কে জানি এবং সে শীর্ষ স্থানীয় দলগুলোর বিপক্ষে দারুণ পারফরম্যান্স করেছে এমনকি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
আমি মনে করি তারা দুজন আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দারুনভাবে পাকিস্তানের পারফরম্যান্সে উন্নতি করতে সাহায্য করবে।






