টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগেও তাকে নিয়ে ছিল কঠোর সমালোচনা। দল থেকেই বাদ পড়তে পারেন এমন গুঞ্জনও ছড়িয়ে ছিল চারদিকে।







কিন্তু ক্রিকেটে একটি কথা রয়েছে সেটা হচ্ছে, ‘ফর্ম ইজ টেম্পোরারি, বাট ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট’। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার যেনো সেটাই প্রমাণ করে দেখালেন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে আইপিএলে অধিকাংশ সময় ডাগআউটে বসেই কাটিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। প্রথম হায়দ্রাবাদ দল থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল তার অধিনায়কত্ব এরপর বাদ দেওয়া হয়েছিল একাদশ থেকেও।







আইপিএল শেষ করে দলের সঙ্গে বিশ্বকাপে যোগ দিয়েও প্রস্তুতি ম্যাচে শুরুটা ভালো করতে পারেননি এই অজি ওপেনার। ওই সময়ই তাকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয় চারপাশে। একাদশ থেকে বাদ দেওয়ার কথাও উঠে একপর্যায়ে। কিন্তু বিশ্বমানের ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার কামব্যাক করলেন বিশ্বকাপের মঞ্চেই।
শুধু কামব্যাকই নয়, অজিদের চ্যাম্পিয়ন করে নির্বাচিত হয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়ার হিসেবেও। ৭ ম্যাচে প্রায় ৪৯ গড়ে ২৮৯ রান করেছেন ওয়ার্নার। আর এই রানই যথেষ্ট হয়ে গেল তার টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়ার হিসেবে নির্বাচিত হতে।







যদিও এবারের বিশ্বকাপে ওয়ার্নারের সঙ্গে সেরা খেলোয়ার নির্বাচনের দৌড়ে ছিল আরও দুই-তিন জনের নাম। এদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন তিনি। যদিও তার দল বিদায় নিয়েছে সেমিফাইনাল থেকে তবুও বাবর ছিলেন ব্যাট হাতে অপ্রতিরোধ্য।
৬ ম্যাচে ৬০ এরও বেশি ব্যাটিং গড়ে ৩০৩ রান করেছিলেন পাকিস্তানি অধিনায়ক। তার থেকে ১ ম্যাচ বেশি খেলে ও ১৪ রান কম করেও ওয়ার্নার নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্বকাপ সেরা খেলোয়ার হিসেবে। কারণ তার দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।







ওয়ার্নার-বাবরকে টেক্কা দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের মারকুটে ব্যাটসম্যান জশ বাটলারও। কয়েকটি ম্যাচে অপরাজিত থাকায় প্রায় ৯০ ব্যাটং করে ৬ ম্যাচে বাটলারের সংগ্রহ ছিল ২৬৯ রান।
প্রায় ৭০ গড়ে পাকিস্তানি আরেক ওপেনার রিজওয়ান ৬ ম্যাচে সংগ্রহ করেছেন ২৮১ রান। তবে তাদের সবাইকে টপকে বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়ার নির্বাচিত হয়েছেন ওয়ার্নার। কারণ অজিদের চ্যাম্পিয়ন করার পিছনে তার অবদান যথেষ্ট।







বাবর আজমের সাথে বেঈমানী করেছে!
ওয়ার্নার কিভাবে সেরা হতে পারে বাবর আজম যেখানে চারটি হাফ সেঞ্চুরি এবং অসাধারণ পরিসংখ্যান অসাধারণ ব্যাটিং সব মিলিয়ে বাবর আজমের মোট রান ৩০০ এর উপর,
যেখানে ওয়র্নার ২৫০ এর উপর।
এক রানের জন্য হার জিত যে খেলায়
এবং সেই খেলাতে চারটি হাফ সেঞ্চুরি করা বিশ্বের এক নম্বর ক্রিকেটার কে কিভাবে অপমান করলো।
এ অপমান ক্রিকেটারদের নয়,
এ অপমান আই সি সি নির্বাচকদের।।