শেষের পথে হার্দিক পান্ডিয়ার ক্রিকেট কেরিয়ার

টানা দুটো ম্যাচে হার্দিক পান্ডিয়াকে বাইরে রাখল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তারকা অলরাউন্ডারকে বারবার বাদ দেওয়ার কোনও কারণ যদিও জানানো হচ্ছে না। হার্দিক পান্ডিয়ার ক্রিকেটীয় কেরিয়ার কি শেষের পথে?

আইপিএলে কেকেআরের বিরুদ্ধে খেলতে নামার পরেই এই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে মুম্বই প্রথম একাদশ দেখার পরেই উল্লাস শুরু করেছিল ক্রিকেটীয় জনতা।

ফিরলেন যে রোহিত! কিন্তু তন্নতন্ন করে খুঁজেও হার্দিকের নাম পাওয়া গেল না মুম্বই একাদশে। অর্থাৎ সিএসকের পরে কেকেআর ম্যাচেও বাইরে থাকলেন তারকা। হার্দিকের অনুপস্থিতি মুহূর্তেই টুইটারে ট্রেন্ডিং।

প্ৰথম ম্যাচে অধিনায়ক কায়রণ পোলার্ড জানিয়েছিলেন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে রোহিত এবং হার্দিককে বাইরে রাখা হয়েছে। সামনেই টি২০ বিশ্বকাপ। তার আগে দুই তারকা বেছে বেছে ম্যাচ খেলবেন, এমনটাই ধরে নিয়েছিল ক্রিকেট মহল।

তবে সিএসকে-র পরে কেকেআর ম্যাচেও হার্দিক অনুপস্থিত প্রশ্ন তুলে দিয়েছে, শুধুমাত্র কি বিশ্রাম দেওয়ার জন্যই বাইরে হার্দিক। না এর পিছনে অন্য রহস্য রয়েছে!

মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তারকাকে বাইরে রাখার কোনও কারণও জানায়নি। আর ফ্র্যাঞ্চাইজির এই ঢাক ঢাক গুড়গুড় আবহে হার্দিকের কেরিয়ার নিয়েই কার্যত প্রশ্নচিহ্ন উঠেছে।

পিঠের চোট সারিয়ে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের পরে নিজের স্বাভাবিক খেলাটাই যেন হারিয়ে ফেলেছেন। বোলিং প্রায় ছেড়েই দিয়েছেন।

তার খেসারতও দিয়েছেন টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ে। টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপে দল নির্বাচনে হার্দিককে অন্তর্ভুক্ত করার পরে প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মা জানিয়েছিলেন,

হার্দিক বোলিং করবে, এমন বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই বিশ্বকাপ দলে রাখা হয়েছে অলরাউন্ডারকে। আর হার্দিকের নিজের বোলিং ফর্ম জাহির করার সেরা সুযোগ ছিল আইপিএল মঞ্চেই।

আর সিএসকে এবং কেকেআর ম্যাচে বাদ পড়ার পরে আশঙ্কিত সমর্থকরা বলছেন, হার্দিকের বিষয়ে সরাসরি জানাক মুম্বই। বিশ্বকাপের আগে মাত্র কয়েকটা ম্যাচে খেলার সুযোগ পাবেন তিনি।

ম্যাচ ফিটনেস প্রমাণ করার সময় ক্রমশই কমে আসছে। অনেকেই আবার সরাসরি জিজ্ঞাসা করছেন,

হার্দিকের ক্রিকেটীয় কেরিয়ার কি শেষের পথে? নাহলে সৌরভ তিওয়ারিকে মুম্বই একাদশে হার্দিকের বিকল্প ভাবছে, এমনটা ভাবতেও কষ্ট হচ্ছে! হার্দিক রহস্য কবে, কীভাবে উন্মোচন ঘটে, সেটাই দেখার।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *