রাহুলের ছক্কা-চারে বড় জয় পেলো পাঞ্জাব

লক্ষ্য বেশি বড় নয়। তারপরও এম এ চিদাম্বরমের উইকেট এখন পর্যন্ত যেমন আচরণ করেছে তাতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স জয়ের আশা করতেই পারে।

কিন্তু লোকেশ রাহুলের হাফ সেঞ্চুরি এবং ক্রিস গেইলের দায়িত্বশীল ব্যাটিং আশাহত করে রোহিত শর্মার দলকে। ৯ উইকেটের জিতে চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দ্বিতীয় জয় পায় লোকেশ রাহুলের দল।

টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে মুম্বাই শুরুতেই ডি কককে হারিয়ে বসে। দিপক হুদার বলে ৩ রানে ময়শেষ হেনরিক্সকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ওপেনার। এরপর পাঞ্জাবের বোলারদের লাইন-লেন্থ মেনে করা বোলিং এবং উইকেটের অ্যাচরন পাওয়ার প্লে’তে মাত্র ২১ রান নিতে দেয় ৫ বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নদের।

৪ নম্বরে ছেঁড়ে ৩ এ নামা ইশান কিশানও টাইমিং করতে পারছিলেন না। ধুঁকছিলেন নিয়মিত। চলতি আসরে প্রথম সুযোগ পাওয়া রবি বিশ্নইকে কাট করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনিও। ৬ রান করেন এই তরুণ।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে হাল ধরেন রোহিত শর্মা এবং সূর্যকুমার যাদব। ৫৬ বলে এই জুটি যোগ করে ৭৬ রান। রোহিত তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। কিন্তু সেই বিশ্নইকেই রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ১৭তম ওভারের প্রথম বলে ফেরেন সূর্য। তখন মুম্বাইয়ের রান ১০৫।

এরপর স্কোরবোর্ডে ৭ রান যোগ করে মোহাম্মদ শামির বলে ফ্যাবিয়ান অ্যালেনের তালুবন্দি হন রোহিত। তিনি ফেরেন ৫২ বলে ৬৩ রানে। চলতি আসরে এটি প্রথম হাফ সেঞ্চুরি মুম্বাই অধিনায়কের।

শেষের দিকে হার্দিক এবং ক্রুনাল পান্ডিয়া দ্রুত ফিরলে কাইরন পোলার্ডের অপরাজিত ১৬ রানে স্কোরবোর্ডে ১৩১ রান যোগ করে মুম্বাই। দুটি করে উইকেট নেন শামি এবং বিশ্নই।

১৩২ রানের লক্ষ্যে শুরুটা দেখে শুনে করলেও সুযোগ বুঝে রান বাড়াতে থাকেন রাহুল এবং মায়াঙ্ক। পাওয়ার প্লে শেষে অষ্টম ওভারে রাহুল চাহারকে স্লগ সুইপে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সূর্যকুমারের তালুবন্দি হন মায়াঙ্ক।

এরপর গেইল এবং রাহুল মিলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। মাঝের সময়তে একাধিক স্পিনার দিয়ে বোলিং করিয়েছেন রোহিত। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। কয়েকটি ছোট ছোট সুযোগ তৈরি হলেও ভাগ্য সঙ্গ দেয় পাঞ্জাবের।

৫০ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন রাহুল। সে সময় দলটির স্কোরবোর্ডে ১৭ ওভারে ১১৫ রান। কিন্তু ১৮তম ওভারের প্রথম বলে ট্রেন্ট বোল্টকে পুল করে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচের ছন্দ পুরোটাই নিজেদের দিকে নিয়ে যান গেইল।

একই ওভারের তৃতীয় বলে লং অনে বোল্টকে ছক্কা হাঁকিয়ে পাঞ্জাবকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে যান রাহুল। শেষ ১৫ বলে মাত্র ৪ রান প্রয়োজন ছিল দলটির। ব্যক্তিগত ৫৬ রানে পরের বলে আবারও ৪ মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন পাঞ্জাব অধিনায়ক। তিনি অপরাজিত থাকেন ৬০ রানে। ৯ উইকেটের জয় পায় পাঞ্জাব।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স- ১৩১/৬ (২০ ওভার) (রোহিত ৬৩, সূর্যকুমার ৩৩) (বিশ্নই ২/২১)

পাঞ্জাব কিংস- ১৩২/১ (১৭.৪ ওভার) (রাহুল ৬০*, গেইল ৪৩*) (রাহুল ১/১৯)

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *