খালি চোখে যেকোনো দর্শকের কাছেই ব্যাপারটা হাস্যকর মনে হবে। এজাজ প্যাটেলের বলটা রক্ষণাত্মক ভঙ্গিমায় ঠেকাতে গেলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বল স্পিন করে ব্যাটকে ফাঁকি দিল। ফলাফল? অফ স্টাম্পে বল লেগে বোল্ড।







তবু রিভিউ চাইলেন ভারতীয় অফ স্পিনার! বোল্ড যে হয়েছেন, বুঝতেই পারেননি অশ্বিন। ভাবলেন, উইকেটকিপার টম ব্লান্ডেলের হাতে বল জমা পড়ার কারণে হয়তো আম্পায়ার আঙুল উঁচিয়ে আউটের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, যে সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি অশ্বিনের। ব্যাটিং–সঙ্গী মায়াঙ্ক আগরওয়ালের সঙ্গে আলোচনা না করেই সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন!
কিন্তু ক্লিন বোল্ড আউট হওয়ায় খুব স্বাভাবিকভাবেই সেই রিভিউ আমলে নেয়নি আম্পায়ার। ভারতেরও রিভিউ বেঁচে গিয়েছে একটা। কিন্তু রিভিউটা যদি সত্যি সত্যি নেওয়া হতো, আর আম্পায়ার যদি তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে সিদ্ধান্তের ভার পাঠাতেন, কী বিতিকিচ্ছি একটা ব্যাপারই না ঘটত!
রিভিউটা আমলে নেওয়া হোক আর না হোক, অশ্বিনের এই সিদ্ধান্তে হাসির রোল উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অনেকে আবার অশ্বিনকে এই বলে তিরস্কার করছেন যে অশ্বিন বেশি বোঝেন।







নয়তো সঙ্গীর সঙ্গে ব্যাপারটা ভালোভাবে আলোচনা না করে ওই কাজ করতে গিয়েছিলেনই-বা কেন? সাবেক অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার ব্র্যাড হগই যেমন বুঝতেই পারেননি অশ্বিন কেন অমনটা করলেন।
টুইটারে বিরক্ত হগ লিখেছেন, ‘তুমি যদি নিশ্চিতই না হও কোনো ব্যাপারে, তাহলে সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করে নিচ্ছ না কেন?’ অশ্বিনের এই কাণ্ড মনে করিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের সৌম্য সরকারকে। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে একই কাণ্ড করেছিলেন এই ওপেনার।
৪৫৭ রানের লক্ষ্যে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ বেশ ভালোই খেলছিল সেদিন। ৪৮ বলে ৫৩ রান করে ছন্দে ছিলেন সৌম্য। কিন্তু আসেলা গুনারত্নের আপাত–নিরীহদর্শন এক বলই বিপদ ডেকে আনল। বোল্ড হলেন সৌম্য।
কিন্তু ওই যে অশ্বিনের মতো সৌম্যও সেদিন বোঝেননি বোল্ড হওয়ার ব্যাপারটা। ভেবেছিলেন, পেছনে থাকা উইকেটকিপার ক্যাচ ধরেছেন। ততক্ষণে লঙ্কান খেলোয়াড়েরা উৎসবে মত্ত। কিন্তু সৌম্য রিভিউ না নিয়ে ক্রিজই ছাড়বেন না যেন!







আম্পায়াররা পরে সৌম্যকে বোঝালে মাঠ ছাড়েন এই ওপেনার। এত দিন এমন কাণ্ডের কথা উঠলে শুধু সৌম্যর নামই আসত, আজ থেকে আসবে অশ্বিনের নামটাও। বোল্ড হয়েও রিভিউ চাইলেন