ডু প্লেসিসের দারুন ব্যাটিং এর পর রাসেল কামিন্স ঝড়ও উৎরে যেতে পারেনি লক্ষ্য। শেষ পর্যন্ত কোলকাতার বিরুদ্ধে ১৮ রানে জয় পেয়েছে চেন্নাই।টসে জিতে কোলকাতা নাইট রাইডার্স অধিনায়ক ইয়ন মরগান ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের সিদ্ধান্ত ভুল প্রমান করতে সময় নেয় নি ২ জন চেন্নাই সুপার কিংস এর ওপেনার ফাফ ডু প্লেসিস ও রুতুরাজ গাইকওয়াদ।
২ জনে মিলে ব্যাটিং ঝড় তোলে কোলকাতার বোলারদের উপর। যদিও পাওয়ার প্লে তে ২ জন তুলনামূলক আস্তেই ছিল। প্রথম ৬ ওভারে রান তোলে ৫৪।এরপর প্রথমে গাইকওয়াদ রান তুলতে থাকে। প্রথম ৩ ম্যাচ খারাপ খেলার পর প্রথম অর্ধ শতক পান তিনি।
৬ চার ও ৪ ছয় থেকে ৬৪ রান করে বিদায় নেয় চক্রবর্তীর বলে। এরপর মঈন আলি এসে ১২ বলে করে ২৫ রান, বিদায় নেয় নারিনের বলে। এরপর ব্যাট চালানো শুরু করে ডু প্লেসিস। একের পর এক চার ছয়ে প্রথমে তুলে নেয় অর্ধ শতক। ধোনি এসে ২ চার ও ১ ছয়ে রান করে ১৭। শেষ পর্যন্ত ডু প্লেসিসের তান্ডবে তারা সংগ্রহ করে ২০ ওভারে ২২০ রান। ডু প্লেসিস অপরাজিত থাকে ৯৫ রান করে।
২২১ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোচট খেয়ে বসে কোলকাতা। দিপক চাহার তুলে নেয় ২ ওপেনার কে। এরপর অধিনায়ক বিদায় নেয় ৭ রান করে, নারিন বিদায় নেয় ৪ রানে। সবার উইকেট তুলে নেয় চাহার। যখন মনে হচ্ছিল চেন্নাইয়ের সহজ জয় তখন ঝড় শুরু করে রাসেল। তবে ২২ বলে ৫৪ করে রাসেল বিদায় নিলে শেষ হয় কোলকাতার শেষ আশা। তাতে শেষ পর্যন্ত তারা হেরে যায় ১৮ রানে।
ম্যাচ শেষে মরগান বলেন,”এটা আসলে রুদ্ধশ্বাস সময় ছিল। ক্রিকেট এমনই এক অনিশ্চয়তার খেলা। পাওয়ারপ্লের সময় আমারা খুব বাজে খেলেছি। প্রথমদিকে এভাবে সবাই এমন বাজে খেলবে তা ভাবিনি। তবে রাসেল ও কার্তিক সুযোগ পেয়ে কাজে লাগিয়েছে। তাদের বড় জুটি গড়ার পর আটকে রাখা প্রায় অসম্ভব ছিল। তারপর আবারও প্যাট কামিন্স জুটি গড়ে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে গিয়েছিল। আমাদের মিডল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা অসাধারণ লড়াই করেছে আজকে।”
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চেন্নাই সুপার কিংস ২২০-৩
রুতুরাজ গাইকওয়াদ ৬৪ (৪২)
ফাফ ডু প্লেসিস ৯৫ (৬০)
মঈন আলি ২৫ (১২)
চক্রবর্তী ২৭-১
সুনীল নারিন ৩৪-১
কোলকাতা নাইট রাইডার্স
রাসেল ৫৪ (২২)
কার্তিক ৪০ (২৪)
দিপক চাহার ২৯-৪