টি-২০ বিশ্বকাপের পরেই টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে চুক্তি শেষ হচ্ছে বিসিসিআইয়ের। শাস্ত্রী নিজেই ইঙ্গিত দিয়েছেন, বিশ্বকাপের পরেই দায়িত্ব ছাড়তে চান তিনি।







যদিও বিসিসিআই তাঁর সঙ্গে চুক্তি নবীকরণ করে কিনা, সেটার উপরও নির্ভর করছে রবি শাস্ত্রীর কোহলিদের কোচের পদে থাকা-না থাকা।
তবে এটা বোঝা যাচ্ছে যে, আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের পরে ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে নতুন কাউকে দেখা যেতে পারে।
এক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়। তিনি অনূর্ধ্ব-১৯, ভারতীয়-এ দল এবং এনসিএ প্রধান হিসেবে ধাপে ধাপে এগিয়ে চলেছেন চূড়ার দিকে।







এক্ষেত্রে টিম ইন্ডিয়ার পরবর্তী হেড কোচ হিসেবে রাহুলই বোর্ডের অটোমেটিক চয়েজ হতে পারেন।
তবে হঠাৎ করেই আলোচনায় চলে এসেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির নাম। আসন্ন বিশ্বকাপে ধোনি টিম ইন্ডিয়ার মেন্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। শাস্ত্রী সরে গেলে মেন্টর থেকে তাঁর কোচ হয়ে যাওয়া একেবারে অসম্ভব নয়।
প্রথমত, ধোনি খুব বেশিদিন আইপিএল খেলবেন না, এটা নিশ্চিত। তাছাড়া ধোনির ক্ষেত্রে কোচ নির্ধারণের যোগ্যতামান বিচার্য্য নাও হতে পারে।







কুম্বলের ক্ষেত্রে ঠিক যেরকম ছাড় দিয়েছিল ভারতীয় বোর্ড, কোনও কোচিং অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও ধোনিকে হঠাৎ করেই কোচ করে দেওয়া হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
তাছাড়া রাহুল দ্রাবিড় যুব দলের কোচ হিসেবে এবং এনসিএ প্রধান হিসেবে অসাধারণ কাজ করেছেন। ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির সঙ্গে দ্রাবিড়ের চুক্তি শেষ হলেও তিনি চুক্তি নবীকরণের জন্য আবেদন করেছেন ইতিমধ্যেই।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, দ্রাবিড় ছাড়া প্রথম দফার নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে আর কেউ এনসিএ-র হেড কোচ হতে চেয়ে আবেদন করেননি।







ফলে বাধ্য হয়েই আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়ে দিতে হয়েছে বিসিসিআই-কে। সুতরাং, দ্রাবিড়ের এনসিএ প্রধানের পদে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
সবমিলিয়ে শাস্ত্রী দায়িত্ব ছাড়লে টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচের দৌড়ে এগিয়ে থাকবেন রাহুল দ্রাবিড়। তবে দ্রাবিড় দায়িত্ব না নিলে ধোনিকে হটসিটে দেখার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এমনকি দ্রাবিড় কোচ হলেও তাঁর সহকারী হিসেবে ধোনিকে টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে রেখে দিতে পারে বোর্ড।






