মরগানের অধিনাকত্ব দেখে ধুয়ে দিলেন গৌতম গম্ভীর

চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে নিয়ে এতদিন ধরে নানা বিতর্কিত মন্তব্য শোনা গেছে ভারতের সাবেক ওপেনার গৌতম গম্ভীরের মুখে। তবে এবার সাবেক অধিনায়ক হিসেবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যানের পেছনে লাগলেন গম্ভীর। আইপিএলের এবারের আসরে মরগ্যানের অধিনায়কত্বকে অদ্ভুত লাগছে তার কাছে।

এ পর্যন্ত খেলা তিন ম্যাচের প্রথমটিতে ১০ রানের নাটকীয় জয় পেলেও পরের দুটি ম্যাচেই হেরেছে কলকাতা। রবিবার নিজেদের সব শেষ ম্যাচে আরসিবির চতুর্থ ওভারে বরুণ চক্রবর্তী বোলিংয়ে এসে বিরাট কোহলি-রজত পাতিদারকে আউট করার পরেও ফিরতি ওভারে আক্রমণ থেকে বরুণকে সরিয়ে নিয়ে সাকিব আল হাসানকে আনেন বোলিং আক্রমণে। অনেকেই মত দিয়েছেন সেই সময় সাকিবের পরিবর্তে বরুণকে আক্রমনে আনলে সদ্য উইকেটে আসা ম্যাক্সওয়েলকে ফেরাতেও পারতেন তিনি।

৬ষ্ঠ ওভারে সাকিব আল হাসানের উপর চড়াও হন দুর্দান্ত ফর্মের ম্যাক্সি। দুই উইকেট নিয়ে যে চাপটা তৈরি করেছিলেন বরুণ তা বোলিং পরিবর্তন করায় আর ধরে রাখতে পারেনি কলকাতা নাইট রাইডার্স। পরে যখন আবার কেকেআরের রহস্য স্পিনার আক্রমণে আসেন, ততক্ষণে ক্রিজে পুরোপুরি জমে গিয়েছেন ম্যাক্সওয়েল। ফলে অনায়াসে বরুণের বিরুদ্ধে খেলেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত দুর্দান্ত ইনিংস খেলে কলকাতা বধের অন্যতম নায়ক হয়েছেন সেই অজি তারকাই।

মরগানের এমন সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেননি কলকাতার দুইবারের শিরোপা জয়ী অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর। এমন অবস্থায় মরগানের সাকিবকে বোলিং করানোটা তার কাছে এক প্রকার অপব্যবহারই মনে হয়েছে। তার ভাষ্যে— মরগ্যানের এমন অদ্ভুত অধিনায়কত্ব দলকে ডোবাচ্ছে।

মরগ্যানকে একহাত নিয়ে রবিবারের ম্যাচ প্রসঙ্গে গম্ভীর বলেন, ‘আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে অদ্ভুত অধিনায়কত্ব দেখলাম। দুটি উইকেট পাওয়া বোলারকে আর পরের ওভারেই বোলিংয়েই আনল না অধিনায়ক! বিশেষ করে যখন একজন ইনফর্ম ব্যাটসম্যান মাঠে রয়েছে। যদি বরুণ ৬ ওভারের মধ্যেও তৃতীয় উইকেট পেত বা ম্যাক্সওয়েলকে আউট করতে পারত তা হলে খেলাটাই বদলে যেত। অন্যরকম কিছু দেখা যেত।’

এটুকু বলেই ইয়ন মরগ্যানকে ধরাশায়ী করেননি গম্ভীর। ইংলিশ তারকাকে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, ‘এটি হয়তো আমার দেখা সবচেয়ে হাস্যকর অধিনায়কত্ব। আমি এটিকে ব্যাখ্যা করতে পারব না। কারণ এটি ব্যাখ্যা করার মতো কোনো পরিভাষা নেই।’

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *