বছর তিনেক আগে পর্যন্ত স্কেটিংই ছিল যশ চাওড়ের ধ্যান-জ্ঞান। স্কেটিংয়ে রাজ্য ও জাতীয় স্তরের টুর্নামেন্টেও অংশ নিয়েছেন তিনি। তবে স্কেটিংয়ে ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয়ে থাকা যশের পিতা শ্রাবণ তাঁকে ক্রিকেটে নিয়ে আসেন।
শুক্রবার যশ তাঁর পিতাকে গর্বিত করেন এমন এক নজির গড়ে, যাতে বাইশগজে তাঁর ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল দেখাচ্ছে।স্কুল ক্রিকেটে ৫০০ রান করার দুর্দান্ত নজির গড়েন যশ।
তাও আবার ৪০ ওভারের ম্যাচে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটের ইন্টার স্কুল টুর্নামেন্টে ভারতের আর কোনও ক্রিকেটারের এই নজির নেই। অর্থাৎ, সীমিত ওভারের ইন্টার স্কুল টুর্নামেন্টে
সব থেকে বেশি রানের ব্যক্তিগত ইনিংস গড়ে তোলেন যশ। সরস্বতী বিদ্যালয়ের হয়ে ওপেন করতে নেমে যশ করে অপরাজিত থাকেন। ১৭৮ বলের ইনিংসে তিনি ৮১টি চার ও ১৮টি ছক্কা মারেন।
নাগপুরের ঝুলেলাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি গ্রাউন্ডে অনূর্ধ্ব-১৪ মুম্বই ইন্ডিয়ান্স জুনিয়র ইন্টার স্কুল টুর্নামেন্টের ম্যাচে সিদ্ধেশ্বর বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে মাঠে নামে সরস্বতী বিদ্যালয়।
শুরুতে ব্যাট করে সরস্বতী বিদ্যালয় বিনা উইকেটে ৭১৪ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। পালটা ব্যাট করতে নেমে সিদ্ধেশ্বর বিদ্যালয় ৫ ওভারে মাত্র ৯ রানে অল-আউট হয়ে যায়।
৭০৫ রানের রেকর্ড ব্যবধানে ম্যাচ জেতে সরস্বতী বিদ্যালয়।এর আগে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ৫০০ রানের গণ্ডি টপকেছেন শ্রীলঙ্কার চিরাথ সেলেপেরুমা।
অনূর্ধ্ব-১৫ ইন্টার স্কুল টুর্নামেন্টে তিনি ৫৫৩ রান করেন। সুতরাং, দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে সীমিত ওভারের ইন্টার স্কুল টুর্নামেন্টে ৫০০ রানের গণ্ডি টপকান যশ।
পরিসংখ্যানবিদ মোহনদাস মেননের তথ্য অনুযায়ী সব ফর্ম্যাট মিলিয়ে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে মোট ১০ জন ক্রিকেটার ব্যক্তিগত ৫০০ রানের গণ্ডি টপকেছেন।
যাঁদের মধ্যে ৫ জন হলেন ভারতীয়। এর আগে প্রণব ধানাওয়াড়ে অপরাজিত ১০০৯ রান করেন। প্রিয়াংশু মোলিয়া অপরাজিত ৫৫৬ রান করেন।
বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে পৃথ্বী শ করেন ৫৪৬ রান। ড্যাডি হাভেওয়ালা ৫১৫ রান করেন। এবার যশ করলেন অপরাজিত ৫০৮ রান। উল্লেখ্য, আরমান জাফর অল্পের জন্য ৫০০ রানের গণ্ডি ছুঁতে পারেননি।
তিনি একদা ইন্টার স্কুল টুর্নামেন্টে ৪৯৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন।যশের ওপেনিং পার্টনার তিলক ওয়াকড়ে ৯৭ বলে ১২৭ রান করেন। দু’জনে মিলে সীমিত ওভারের ইন্টার স্কুল টুর্নামেন্টে রেকর্ড রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ গড়েন।