লর্ডস টেস্টে হার বাঁচাতে হলে শেষ দিনে স্কোর বোর্ডে রানের প্রয়োজন ছিল ভারতের। চতুর্থ দিনের শেষে ভারতের হাতে প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান ছিলেন কেবল পান্ত।
তিনিও পঞ্চম দিনের শুরুতেই আউট হয়ে বসেন। ভারত ১৯৪ রানের মাথায় ৭ উইকেট হারায়।
কোহলিরা ইংল্যান্ডের সামনে ২০০ রানের লক্ষ্যমাত্রাও ঝুলিতে দিতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে যখন প্রবল সংশয় দেখা গিয়েছে, ঠিত তখনই ইতিহাস গড়া জুটিতে ভারতকে বাঁচিয়ে দিলেন মোহাম্মদ শামি ও বুমরাহ।
বার বার বোলিংয়ে ভারতকে জেতানোর আজ যেন দায়িত্বটা ব্যাট হাতে বুঝে নিলেন শামি। পান্ত আউট হওয়ার পর ইশান্ত শর্মার সঙ্গে ১৫ রানের পার্টনারশিপ গড়লেন।
ইশান্ত যখন ফেরেন, ভারতের স্কোর ৮ উইকেটে ২০৯। বুমরাহ ক্রিজে আসার পর তাঁকে নিয়ে শামি দ্রুত গতিতে রান।
দিনের প্রথম সেশনে বুমরাহর সঙ্গে অবিচ্ছদ্য জুটিতে আরও ৭৭ রান যোগ করেন শামি। দেশের বাইরে ভারতের হয়ে ৯ম উইকেটে যা সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড।
৩৯ বছর আগে লর্ডসেই ১৯৮২ সালে নবম উইকেটে ৬২ রানের সর্বোচ্চ জুটি গড়েছিলেন কপিল দেব ও মোদন লাল।
এই জুটির পথেই ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। ইনিংসের ১০৬তম ওভারে মঈন আলির দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে চার ও ছক্কা মেরে অর্ধশতরানের গণ্ডি টপকে যান এই তারকা পেসার।
৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ঐতিহ্যশালী লর্ডসে ৫৭ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব অর্জন করেন শামি।
৮ উইকেটে ২৮৪ রানে মধ্যাহ্নভোজে যান শামি ওব বুমরাহ। বিরতি শেষে আর ১২ রান যোগ করতেই ইনিংস ঘোষণা করেন কোহলিরা।
এতে ইংলিশদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৭২ রানের। শামি ৫৬ বুমরাহ ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন।