আন্তর্জাতিক, ঘরোয়া এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট মিলে বছরের প্রায় ১০ মাস ব্যস্ত থাকতে হয় ক্রিকেটারদের। চাপ সইতে না পেরে ক্রমশই চোটে পড়ছেন ক্রিকেটাররা।
বিশেষ করে সবশেষ কবছরে চোট বেড়েছে পেসারদের। অনুশীলনে কম বোলিং করায় চোটের প্রকোপ বেড়েছে বলে মনে করেন কপিল দেব।
লম্বা সময় ধরে চোটে পড়ে রয়েছেন জসপ্রিত বুমরাহ। চোটের কারণে সবশেষ এশিয়া কাপে খেলা হয়নি ডানহাতি এই পেসারের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তাকে পায়নি ভারত।
এমনকি সবশেষ কয়েকটি সিরিজেও দেখা মিলেনি তার। কবে নাগাদ ফিরবেন সেটারও নিশ্চয়তা নেই। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা সিরিজে ফেরার কথা থাকলেও ফেরা হয়নি তার।
এমনকি চলমান নিউজিল্যান্ড সিরিজেও নেই বুমরাহ। এদিকে ভারতের পেসারের মতো লম্বা সময় চোটে ছিলেন জফরা আর্চার। প্রায় বছর দেড়েকের চোট কাটিয়ে কদিন আগে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছেন তিনি। হাঁটুর ইনজুরি বয়ে বেড়াচ্ছেন পাকিস্তানের পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদি।
বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমানও প্রায়শই চোটের সঙ্গে লড়াই করেন। এদিকে কদিন আগে চোটে পড়েছেন ভারতের পেসার কুলদীপ সেন। সেই তালিকায় ছিলেন হার্শাল প্যাটেলও।
পেসারদের এমন চোট কাটাতে অনুশীলনে বেশি বল করার পরামর্শ দিয়েছেন কপিল। ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী সাবেক অধিনায়ক মনে করেন, অনুশীলনে বেশি বল করলে পেশি বেশি বিকশিত হবে।
এ প্রসঙ্গে কপিল বলেন, ‘আপনি যত বেশি নেটে বল করবেন আপনার পেশির তত বিকাশ হবে। আমি শুনেছি, অনুশীলনে পেসারদের মাত্র ৩০টি বল করার অনুমতি দেয়া হয়।
এটা একটা বড় কারণ (চোটের) হতে পারে। পেশাদার পর্যায়ে খেলার জন্য তারা যখন এত চাপ নেয়, তখন শরীরে ফাটল ধরতে থাকে। তাদের অন্য যে কোনও কিছুর চেয়ে বেশি বল করতে হবে।’
বছরের ১০ মাস খেলাকেও খানিকটা দায়ী করেছেন কপিল। তিনি বলেন, ‘এখন ১০ মাসের বেশি সময় ধরে একটি মৌসুম চলে। খেলোয়াড়েরা যত বেশি খেলতে তত চোট বাড়বে। ক্রিকেট খেলাটা সহজ নয়।
খেলোয়াড়দের আসলে অ্যাথলেটিকদের মতো ফিটনেস দরকার। সব পেশির ব্যবহার করে যেকোনো পরিস্থিতিতে খেলে যেতে হবে। সবকিছু মানিয়ে নেয়া সহজ নয়। এতে শরীরের উপর চাপ পড়ে। যে কারণে চোট বেশি হচ্ছে।’