বিরাট কোহলির অধিনায়কত্ব কেড়ে নেয়ায় নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনলেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি

টি-টোয়েন্টির পর এবার ওয়ানডে নেতৃত্বও হারিয়ে বসেছেন বিরাট কোহলি। তার পরিবর্তে সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেটে ভারতের অধিনায়কত্ব তুলে দেয়া হলো রোহিত শর্মার হাতে।

কিন্তু বিরাট কোহলিকে বিশেষ করে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে যেভাবে বাদ করে দেয়া হলো, তাতে বরং রেগে আগুন তার ভক্তরা।

বিরাট ভক্তদের সব রাগ গিয়ে এখন পড়ছে মূলতঃ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বা বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলির ওপর। বিরাট ভক্তরা উল্টো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকি দিয়ে বলছে, ‘আমরা সবাই মিলে সৌরভ গাঙ্গুলিকেই বের (বিসিসিআই থেকে) করে দেবো।’

এতদিন বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা সমর্থকদের একাংশের মধ্যে ‘লড়াই’ চলত। বুধবার থেকে সেই ‘লড়াই’ ছাপিয়ে বিরাটের সমর্থকদের একাংশের রাগ গিয়ে পড়ছে সৌরভ গাঙ্গুলির উপর।

গত বুধবার কোহলিকে বাদ দিয়ে রোহিত শর্মাকে ভারতের ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। যদিও এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি বিরাট। এমনকি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টেও কোনও কিছু লিখেননি।

তবে, এরপর গতকাল শুক্রবার শুধুমাত্র একটি সংস্থার বিজ্ঞাপন পোস্ট হয়েছে বিরাটের ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটার পেজে। সেখানেই ভক্তরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। বিরাটের সমর্থনেই সেখানে বিভিন্ন মন্তব্য করতে দেখা যাচ্ছে ভক্তদের।

তেমনই একজন মন্তব্য করেছেন, ‘সৌরভকে বের করে (বিসিসিআই থেকে) দেব ভাই। টেনশন করো না।’ সেই মন্তব্যে অনেকে অবশ্য খোঁচা দিতে ছাড়েননি। তেমনই এক নেটিজেন বলেন, ‘ভাই, বিরাট সৌরভকে বের করতে পারবে না। সৌরভ বিরাটকে বের করে দিতে পারে।’

এমনিতে বিরাটকে ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব থেকে সরানো নিয়ে ভারতের তুমুল বিতর্ক চলছে। কেন, কী কারণে বিরাটকে একদিনের ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব থেকে সরানো হয়েছে,

সে প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার সংবাদসংস্থা এএনআইকে সৌরভ বলেন, ‘বিসিসিআই এবং নির্বাচকরা মিলিতভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আসলে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব না ছাড়ার জন্য বিরাটকে অনুরোধ করেছিল বিসিসিআই।

কিন্তু সে তাতে রাজি হয়নি। সে পরিস্থিতিতে সাদা বলের দুটি ফরম্যাটে দু’জন ভিন্ন অধিনায়ক রাখাটা ঠিক হবে বলে মনে করেননি নির্বাচকরা।’

সঙ্গে সৌরভ এটাও যোগ করেন, ‘তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে টেস্ট দলের অধিনায়ক থাকবেন বিরাট। সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতের অধিনায়কত্ব করবেন রোহিত (শর্মা)। বিসিসিআইয়ের সভাপতি হিসেবে আমি নিজে বিরাটের সঙ্গে কথা বলেছি। নির্বাচক প্রধানও তার সঙ্গে কথা বলেছেন।’

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *