আইপিএলে গতকাল কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স-এর ম্যাচের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে আজ। আইপিএলে আজ একমাত্র ম্যাচে রয়েল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরু মুখোমুখি হয় সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ।
আগে ব্যাট করতে নেমে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে ১৫০ রানের টার্গেটে দেয় রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও শেষের দিকে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৬ রানের ম্যাচ হেরেছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ।
চেন্নাইয়ে চেপুকে এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে বেঙ্গালুরুর ব্যাটিং লাইনে হায়দরাবাদ প্রথম আঘাত করে তৃতীয় ওভারে। নিজের প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমে দেবদূত পাডিক্কাল বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১৩ বল খেলে ১১ রান করে আউট হন বেঙ্গালুরু ওপেনার। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর প্রথম বলে শাহবাজ আহমেদ (১৪) শিকার হন শাহবাজ নাদীমের।
ওপেনিংয়ে নামা বিরাট কোহলি প্রথম ম্যাচের মতো একই স্কোর করে থামেন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে ৪৪ রানের জুটি গড়েন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক। ২৯ বলে চারটি চারে ৩৩ রান করে কোহলি মাঠ ছাড়েন জেসন হোল্ডারের বলে।
এরপর ক্রিজে একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন ম্যাক্সওয়েল, উপযুক্ত সঙ্গী পাননি আর। রশিদ টানা দুই ওভারে এবি ডি ভিলিয়ার্স (১) ও ওয়াশিংটন সুন্দরকে (৮)। ১০৯ রানের মধ্যে ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটে ড্যান ক্রিস্টিয়ানকে (১) টি নটরাজন ফেরালে।
শেষ ওভারের তৃতীয় বলে পাঁচ বছরে প্রথম আইপিএল ফিফটি করেন ম্যাক্সওয়েল। শেষ বলে তিনি আউট হন ব্যক্তিগত সেরা ৫৯ রানে। তার ৪১ বলের ইনিংসে ছিল ৫ চার ও ৩ ছয়। ওই ওভারের প্রথম বলেই হোল্ডার দ্বিতীয় উইকেট নেন কাইল জেমিসনকে (১২) আউট করে।
ইনিংস সেরা বোলিং করেছেন হোল্ডার, চার ওভারে ৩০ রান দিয়ে ৩ উইকেট। রশিদ ৪ ওভারে ২ উইকেট নেন এবং রান দেন মাত্র ১৮।
১৫০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ঋদ্ধিমান সাহার উইকেট হারালেও ডেভিড ওয়ার্নার এবং মনিশ পান্ডে ব্যাটিংয়ে জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। কিন্তু দলীয় ৯৬ রানের মাথায় ডেভিড ওয়ার্নার ৫৪ রান করে আউট হলে বড় ধরনের বিপদে পড়ে সানরাইজ হায়দ্রাবাদ।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে হায়দ্রাবাদ। এরপর ব্যাট হাতে তেমন কেউ আলো ছড়াতে পারেনি। ইনিংসের খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন বাঙ্গালী ক্রিকেটার শাহবাজ আহমেদ। তিনি ১৭ তম ওভারে তিনটি উইকেট তুলে নেন।
দলীয় ১৫৫ রানের মাথায় ১২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন জনি বেয়ারস্টো। পরের বলে আরেক টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান মনিশ পান্ডেকে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। ৩৮ রান করে আউট হন মনিশ পান্ডে।
এরপর আব্দুল সামাদ ০ বিজয় শংকর ৩ এবং জেসন হোল্ডার করেন ৪ রান। তবে শেষের দিকে রাশিদ খান ব্যাট হাতে কিছুটা ঝড় তুললেও ম্যাচ জেতাতে পারেননি তিনি। ৮ বলে ১৭ রান করে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন রাশিদ খান। শাহবাজ ২ ওভারে ৭ রানের বিনিময়ে তুলে নেন ৩ উইকেট। এছাড়াও মোহাম্মদ সিরাজ দুটি উইকেট লাভ করেন।