সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে টানা ১৬টি টি ২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচে জিতল পাকিস্তান। বাবর আজমের অধিনায়কত্বে পাকিস্তান কখনও হারেনি এই দেশে।







রবিবার শারজায় পাকিস্তানের হুঙ্কারে ঝরে পড়লো স্কটল্যান্ড। সুপার টুয়েলভে পাঁচটি ম্যাচের পাঁচটিতেই জিতল পাকিস্তান, পাঁচের পাঁচটিতেই পরাজিত কাইল কোয়েটজারের স্কটল্যান্ড। এদিন বাবররা জিতলেন ৭২ রানে।
পাকিস্তান গ্রুপ ২ থেকে ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শেষ চারে গেল এক নম্বর দল হিসেবেই। নিউজিল্যান্ড গেল দ্বিতীয় দল হিসেবে। ১০ নভেম্বর আবু ধাবিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড।
পরের দিন দুবাইয়ে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পাকিস্তানের সামনে অস্ট্রেলিয়া। ২০১০ সালের টি ২০ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ১ বল বাকি থাকতে তিন উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল অজিরা। ১৪ নভেম্বর দুবাইয়ে ফাইনাল।







জয়ের জন্য ১৯০ রান তাড়া করা কঠিনই ছিল স্কটল্যান্ডের কাছে। শেষ অবধি ৬ উইকেটে ১১৭ রানের বেশি এগোতে পারেনি স্কটল্যান্ড। চারটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে ৩৭ বলে ৫৪ করে অপরাজিত থাকেন রিচি বেরিংটন।
মাইকেল লিস্ক ১৪ ও জর্জ মান্সি ১৭ রান করেন। বাকিরা কেউ দুই অঙ্কের রান পাননি। শিশিরে ভেজা বলে বোলারদের পারফরম্যান্স সেমিফাইনালের আগে দেখে নিতেই টস জিতে বাবর ব্যাটিং নিয়েছিলেন। পাকিস্তানের এদিনের সফলতম বোলার শাদাব খান। চার ওভারে ১৪ রানের বিনিময়ে তিনি নেন ২ উইকেট। ইমাদ ওয়াসিম চার ওভারে ১৭ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি।
শাহিন শাহ আফ্রিদি ৪ ওভারে ২৪ রান খরচ করে নেন একটি উইকেট। হ্যারিস রউফ ৪ ওভারে ২৭ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পান। হাসান আলি একটি মেডেন ওভার-সহ ৪ ওভারে ৩৩ রানের বিনিময়ে নেন দুটি উইকেট।







সাতটি ম্যাচ টানা জিতে কখনও কোনও দল টি ২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়নি এর আগে। আবার অধিনায়ক বাবর আজম টি ২০ আন্তর্জাতিকে একবারও হারেননি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে।
ফলে দুবাইয়ে পাকিস্তান কার্যত হোম অ্যাডভান্টেজই পাবে টি ২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। ব্যাটাররা যেমন ফর্মে, তেমনই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করছেন বোলাররাও। ম্যাচের সেরা শোয়েব মালিক জানিয়েছেন, আমাদের পরিকল্পনা ছিল প্রথমদিকে উইকেট না খুইয়ে বড় রান তুলতে।
দেড়শোর ওপর রান তোলার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল। প্রথমে কয়েকটা বল দেখে নিয়েই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের পরিকল্পনা ছিল আমাদের। এই ধরনের উইকেটে ৬-৮টি বল দেখেই স্বাভাবিক খেলা খেলা যায়। দলের হয়ে ধারাবাহিকভাবেই ভালো খেলতে চাই। সঞ্চিত আত্মবিশ্বাস সম্বল করেই এগোতে চাইছেন শোয়েব।







পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম বলেন, দলগত সংহতিই রয়েছে সাফল্যের নেপথ্যে। প্রত্যেকের একে অপরের উপর বিশ্বাস ও আস্থা রয়েছে। পাওয়ারপ্লে-র পুরো সুবিধা নিতে না পারলেও মহম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিকের সঙ্গে পার্টনারশিপে আমরা ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান তুলতে পেরেছি। শোয়েব মালিক নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ফিনিশার হিসেবে দারুণভাবে মেলে ধরেছেন, এ জন্যই তাঁর খ্যাতি রয়েছে।
যেভাবে আমরা খেলছি তাতে নিশ্চিতভাবেই আত্মবিশ্বাস রয়েছে। সেমিফাইনালেও এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখা আমাদের লক্ষ্য। দুবাইয়ে দর্শকদের সমর্থন যে আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দেয় সে কথা স্বীকার করেছেন বাবর। তাঁদের সামনে ২০১০-এর বদলা নেওয়ার পালা।






