ইংল্যান্ডের এবারের ঘরোয়া মৌসুমে সবচেয়ে আলোচিত নাম লিয়াম লিভিংস্টোন। টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট আর দা হান্ড্রেড মিলিয়ে ১৫ ইনিংসেই মেরেছেন তিনি ৪০ ছক্কা।







আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মেরেছেন আরও ১৫টি। তবে আইপিএল খেলতে এসে তিনি জানালেন, এই মৌসুমে তার অমন ব্যাটিং তাণ্ডব রাজস্থান রয়্যালসের সতীর্থ রিয়ান পরাগের ব্যাট দিয়ে!
গত এপ্রিলে কোভিড পরিস্থিতির কারণে আইপিএল স্থগিত হওয়ার বেশ আগেই লিভিংস্টোন দেশে ফিরে যান মানসিক অবসাদ নিয়ে। সঙ্গে নিয়ে যান পরাগের কাছ থেকে পাওয়া ব্যাট।
এরপরে দা হান্ড্রেড-এর প্রথম আসরে বার্মিংহাম ফিনিক্সের হয়ে ৩৪৮ রান করেন ১৭৮.৪৬ স্ট্রাইক রেটে, ৯ ইনিংসেই ছক্কা মারেন ২৭টি! আর টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে ১৪৭.৬১ স্ট্রাইক রেটে করেন ২৭৯ রান। ৬ ইনিংসে ছক্কা মারেন ১৩টি।







ঘরোয়া ক্রিকেটের ফাঁকে এই গ্রীষ্মে মাঠে নামেন তিনি ইংল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতেও। ওয়ানডে কেবল একটিই খেলেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওই ম্যাচে ৯ রানে আউট হলেও তাতে ছিল একটি ছক্কা।
আর টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ইনিংসে ছক্কা মারতে পারেন কেবল একটি। তা পুষিয়ে দেন পরের সিরিজে। পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টিতে ছক্কা মারেন ১৩টি।
ট্রেন্ট ব্রিজে ৪৩ বলে ১০৩ রানের ইনিংসে ছক্কা মারেন ৯টি। পরের ম্যাচে ২৩ বলে ৩৮ রান করার পথে ছক্কা ৩টি, আর শেষ ম্যাচে হাঁকান দুটি ছক্কা।







সব মিলিয়ে ২১ ইনিংসে ৫৫ ছক্কা।
আরব আমিরাতে আবার শুরু হয়েছে স্থগিত হয়ে যাওয়া আইপিএলের দ্বিতীয় লিগ। মঙ্গলবার দলের প্রথম ম্যাচে মাঠেও নামেন তিনি। তার আগে ২৮ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান বিবিসিকে জানান, পরাগের ব্যাটেই তার সাম্প্রতিক রুদ্ররূপ।
লিভিংস্টোনের কথায়, “আমার ক্রিকেট ব্যাগগুলোর একটি চেয়েছিল সে, আমি চেয়েছিলাম তার একটি ব্যাট। আমরা তাই নিজেদের চাওয়ামতোই বিনিময় করি এবং ওই ব্যাটই আমি সাদা বলের ক্রিকেটে এবারের পুরো গ্রীষ্মে ব্যবহার করে আসছি। গত কয়েক মাসের সব ছক্কার জন্য তাই আমি হয়তো রিয়ানের কাছে কৃতজ্ঞ।”







গত এপ্রিলে অবসাদ নিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ফিরে গেলেও এখন তিনি দারুণ চনমনে আছেন বলেই জানালেন লিভিংস্টোন, “আমি মনে করি, ক্রিকেটের বাইরেও জীবনের অনেক কিছু আছে।
কখনও কখনও আমরা ভুলে যাই যে আমরা আসলে মানুষ এবং মাঝেমধ্যে নিজেদের দেখভাল করতে হয়। ওই সময় যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম (টুর্নামেন্ট ছেড়ে যাওয়ার), তা মোটেও সহজ ছিল না।
কারণ আমি রয়্যালসকে ম্যাচ জিততে সাহায্য করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কখনও কখনও মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”






