নিজেকে নয়, ম্যান অফ দ্য ম্যাচ যে ১ জন ভারতীয় ক্রিকেটারকে বানাতে চান রোহিত শর্মা

ওভাল টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে দুরন্ত শতরান করার জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠে রোহিত শর্মার হাতে। তবে দুই ইনিংসেই অর্ধশতরানসহ মোট ১১৭ রান ও তিনটি উইকেট নিয়ে ম্যাচ জয়ে শার্দুল ঠাকুরের অবদান ভোলার মতো নয়।

অনেকেই দাবি করেন রোহিত নয়, শার্দুলই ম্যাচ সেরা হওয়ার যোগ্য দাবিদার ছিলেন। এই বিষয়ে সম্মতি প্রকাশ করেন খোদ রোহিতও।

ভারতীয় ওপেনার BCCI.tv-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, ‘আমার মতে শার্দুলেরও ম্যান অফ দ্য ম্যাচ পুরস্কার জেতা উচিত ছিল।

ওর দৌলতে দল জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়। ইংল্যান্ডের ওপেনাররা ১০০ রানের পার্টনারশিপ করে দারুণভাবে লক্ষ্যে এগোচ্ছিল, সেই পার্টনারশিপটা ভাঙা অত্যন্ত জরুরি ছিল যা শার্দুল করে দেখায়।

পাশপাশি জো রুটের উইকেটের গুরুত্বটা অপরিসীম। ওরা সেইসময়ও একটা পার্টনারশিপ গড়ছিল। প্রথম ওভারেই শার্দুল রুটকে আউট করে।’

ব্যাটসম্যান শার্দুলেও অভিভূত রোহিত। প্রথম ইনিংসে ধুঁকতে থাকা ভারতীয় ইনিংসকে শার্দুল কিছুটা হলেও তাঁর ঝোড়ো অর্ধশতরানের মাধ্যমে অক্সিজেন প্রদান করেন।

তাঁর সুবাদেই মূলত ১৯১ অব্ধি পৌঁছাতে সক্ষম হয় ভারত। শার্দুলের গুরুত্ব বোঝাতে সেই ইনিংসের দিকেই আলোকপাত করেন রোহিত।

দুই ক্রিকেটারই মুম্বইয়ে একই কোচের অধীনে নিজের কেরিয়ার শুরু করায় ২৯ বছর বয়সী ভারতীয় অলরাউন্ডারকে খুবই কাছ থেকে দেখেছেন রোহিত।

সেই কথা মনে করিয়ে দিয়েই ভারতীয় তারকা বলেন, ‘ওর ব্যাটিং নিয়ে আলাদা করে কী বা বলতে পারি। ওই পজিশনে নেমে (প্রথম ইনিংসে) ৩০,৩২ বলে (আদপে ৩১) অর্ধশতরান করা একেবারেই মুখের কথা নয়।

ও নিজের ব্যাটিংয়ের প্রচুর কসরত করেছে। আমি ওকে খুবই কাছ থেকে নিজের ব্যাটিং নিয়ে খাটতে দেখেছি। ও ব্যাট করতে প্রচন্ড ভালবাসে এবং যে কোন পরিস্থিতিতে, যে কোন সময়ে ও ব্যাট হাতে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে সবসময়ই বদ্ধপরিকর।

আমরা প্রথম ইনিংসে ১৩০-৪০ রানে আউট হয়েই যেতে পারতাম, তবে ওর ব্যাটিং দলকে মোমেন্টাম দেয়। ওর ফলেই আমরা ১৫০-র বদলে ১০০ রান পিছিয়ে ছিলাম।’

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *