প্রথম কোয়ালিফায়ারে রুদ্ধশ্বাস জয় তুলে নিয়ে আইপিএলের ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে ইয়োলো আর্মি। তবে এই ম্যাচের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিল শেষ কয়েকটা ওভার।







একটা সময় কার্যত মনে হচ্ছিল ১৭৩ রানের টার্গেট হয়তো বা পৌঁছাতে পারবেনা সিএসকে। যদিও শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন ঋতুরাজ এবং উথাপ্পা।
দুজনের জোড়া হাফ সেঞ্চুরির দৌলতে ম্যাচ মধ্য পর্বে অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছিল ধোনির চেন্নাইয়ের জন্য। কিন্তু কার্যত এদিন ফের একবার দিল্লির বোলিংয়ের সামনে ভেঙে পড়ে সিএসকের মিডল অর্ডার। ফলে হঠাৎই চাপে পড়ে যায় সিএসকে।
দিনের শুরুটাও প্রায় একই রকম হয়েছিল দিল্লির জন্য। এক প্রান্তে পৃথ্বী শ হাফসেঞ্চুরি দিয়ে সুন্দর শুরু করলেও অন্যপ্রান্তে কেউই দাঁড়াতে পারেননি।







শেষ পর্যন্ত সিমরান হেটমায়ার এবং অধিনায়ক পন্থের দৌলতে ১৭২ রানের লড়াকু স্কোরে পৌঁছায় দিল্লি। অন্যদিকে সিএসকের ক্ষেত্রে ডুপ্লেসি ১ রানে ফেরার পর ভালোই জুটি বেঁধেছিলেন উথাপ্পা এবং ঋতুরাজ।
কিন্তু উথাপ্পা আউট হতেই পরপর কয়েকটা উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে কামব্যাক করে দিল্লি। এমনকি ৭০ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন ঋতুরাজও।







ফলতো ফের একবার ধোনির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল চেন্নাই। ধোনি কি পারবেন আগের মত এক ওভারে ১৯ রান তুলে চেন্নাইকে জয় এনে দিতে?
সেটাই ছিল সমর্থকদের সব থেকে বড় প্রশ্ন। কারণ এই মরশুমে সেভাবে ব্যাটে রান ছিলনা মাহির। অনেকেই বলছিলেন, হয়তোবা আইপিএলেও ধোনি যুগের অবসান হতে চলেছে।
কিন্তু শেষ পর্যায়ে এসে মাহি বুঝিয়ে দিলেন ‘পিকচার আভি বাকি হ্যায়’। পরপর উইকেট তুলে নিয়ে দিল্লিকে ম্যাচে ফেরানোর টম কুর্যানের বলেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৯ রান তুলে নিলেন ক্যাপ্টেন কুল।







দুর্দান্ত ওভার বাউন্ডারি দিয়ে শুরু হয়েছিল যে ওভার, তার শেষও করতে পারলেন না কুর্যান, কারণ তার আগেই পরপর তিনটে বাউন্ডারি তুলে নিয়ে চেন্নাইকে জয় এনে দিয়েছেন ধোনি।
আজ তার ৬ বলে ১৮ রানের এই বিধ্বংসী ইনিংস দেখে মেতে উঠলেন বিরাটও। ‘ফিনিশার’ মহেন্দ্র সিং ধোনির প্রত্যাবর্তন দেখে ‘লাফিয়ে উঠলেন’ বিরাট কোহলি। বললেন, ‘কিং ইজ ব্যাক’।
রবিবার টুইটারে কোহলি বলেন, ‘এবং রাজা ফিরে এলেন (কিং ইজ ব্যাক)। এই খেলার সেরা ফিনিশার। আজ রাতে আবারও নিজের জায়গা থেকে লাফিয়ে উঠতে বাধ্য করলেন।’ সেই টুইটে ধোনিকে ট্যাগও করেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়ক।






