ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে পারল না দক্ষিণ আফ্রিকা। রান রেট পয়েন্টে পিছিয়ে থেকে ইংল্যান্ডের সাথে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া।







টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গত কালকের দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। সেই সাথে ইংল্যান্ডের সাথে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া।
আর দক্ষিণ আফ্রিকার সেমিফাইনালে না যাওয়ার কারণ বাংলাদেশ। কারণ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৮৪ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ।
ওই রান তাড়া করতে দক্ষিণ আফ্রিকার খেলেছিল ১৩.৩ ওভার। অন্যদিকে বাংলাদেশকে ৭৪ রানে অলআউট করেছিল অস্ট্রেলিয়া।







ওই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া জয়লাভ করেছিল ৬.২ ওভারে। তাই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৬.৫ ওভার আগে জয়লাভ করায় মূলত সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া।
শারজায় অনুষ্ঠিত ম্যাচের শুরুতে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগান। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ২ রানেই ওপেনার রেজা হ্যানড্রিকসকে হারায় প্রোটিয়ারা। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ভ্যান ডার ডুসেনকে সঙ্গে নিয়ে দুর্দান্ত ব্যাট করতে থাকেন ওপেনার কুইন্টন ডি কক।







এ সময় দুজন মিলে তুলেন ৭১ রান। ২৭ বলে ৩৪ রান করেন আউট হন ডি কক। তৃতীয় উইকেট জুটিতে এইডেন মারক্রামের সঙ্গে আরও ভয়ঙ্কর জুটি গড়েন ডুসেন। শেষ পর্যন্ত খেলে গিয়ে মাত্র ৫২ বলে দুজন মিলে তুলেন প্রতিরোধ্য ১১০ রান।
এই দুজন ব্যাটসম্যানই অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন। সেঞ্চুরিই পেতে পারতেন ডুসেন। হয়নি ৫ রানের জন্য। ৬০ বল খেলে অপরাজিত থাকেন ৯৫ রানে। তার এই শৈল্পিক ইনিংসটি পাঁচটি চার এবং ছয়টি ছয়ে সাজানো।
অন্যদিকে ইংলিশ বোলারদের তুলোধূনো করা এইডেন মারক্রাম ফিফটি করার পর অপরাজিত ছিলেন ৫২ রানে। মাত্র ২৫ বলে খেলা তার ইনিংসটি দুটি চার এবং চারটি ছয়ে সাজানো। ১৯০ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্তই ছিল।







কিন্তু ক্রিজে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি ওপেনার জেসন রয়। না, আউট হননি। পায়ের রগে টান পড়ার কারণে রিটায়ার্ড হার্ড হয়ে মাঠের বাইরে চলে যান। ১৫ বলে তিনি করেন ২০ রান।
আর বাটলার আউট হওয়ার আগে ১৫ করেন ২৬ রান। পরের উইকেটে খেলতে নেমে মাত্র ১ রানে আউট হন জনি বেয়ারস্টো।
এরপর ডেভিড মালানের সঙ্গে ক্যামিও পার্টনার গড়ে ৩৭ রানে ফেরেন মঈন আলি। আর ৩৩ রানে ফেরেন মালান। শেষদিকে লিয়াম লিভিংস্টোন এবং ইয়ন মরগান মিলে জয়ের শেষ চেষ্টাটা চালান। কিন্তু কাজ হয়নি।
২৮ রানে লিভিংস্টোন এবং ১৭ রানে ফেরেন মরগান। এছাড়া ৭ রানে ক্রিস ওকস এবং শূন্যরানেই আউট হন ক্রিস জর্ডান। আর ২ রানে আদিল রশিদ এবং ১ রানে মার্ক উড অপরাজিত থাকেন। ফলে ইংল্যান্ডের ইনিংস থামে ১৭৯ রানে।






