বাংলাদেশের অন্যতম লক্ষ্য নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫-০তে সিরিজ জয়। কারণ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি ও রেটিং বাড়ানোও দারুণ প্রয়োজন টাইগারদের।
ক্রিকেটের এই রঙিন ফরম্যাটে র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশর অবস্থান এখনো আফগানিস্তানের পর (১০ম স্থানে)। এ কারণেই বিশ্বকাপের জন্য বাছাই পর্ব খেলতে হচ্ছে টাইগারদের। ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করেই পূর্ণশক্তির দলই নিয়ে কিউইদের বিপক্ষে মাঠে নামবে স্বগতিকরা।
সবকিছু ঠিক থাকলে দলে ফিরছেন অজিদের বিপক্ষে দলে থেলতে না পারা তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহীম ও লিটন দাস।
র্যাঙ্কিংয়ে চোখ রেখে নিউজিল্যান্ডকে যে ছাড় দেয়া হবেনা তার কারণটাও জানিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভালো সম্ভাবনা আছে কিন্তু র?্যাঙ্কিংয়ে এটা প্রকাশ করে না।’
যদিও এই সফরে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড তাদের দ্বিতীয় সারির দলই ঢাকায় পাঠানোর ঘোষণ দিয়েছে। তবে কিউইরা সফরে আসার আগে কিছুটা বিশ্রাম পাচ্ছে টাইগাররা।
নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশ সফরের জন্য তাদের ঘোষণা করেছে। তবে এই সফরে তারা পাঠাচ্ছে না টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে খেলবে এমন বেশির ভাগ তারকা ক্রিকেটারকেই।
তাই নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনতো আসছেন না। সঙ্গে এই সফরে দেখা যাবে না মিচেল স্যান্টনার, ইশ সোধি, জিমি নিশাম, ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সৌদি, লকি ফার্গুসন, মার্টিন গাপটিল এর মতো তারকাদের। এককথায় দ্বিতীয় সারির একটি দলই পাঠাচ্ছে কিউই ক্রিকেট বোর্ড। এর কারণটা স্পষ্ট।
তারা অস্ট্রেলিয়াকে বাংলাদেশের স্পিনে নাকাল হয়ে ৪-১ সিরিজ হার থেকে শিক্ষা নিয়েছে। এমন উইকেটে প্রস্তুতি নিয়ে তারা বিশ্বকাপে খেলবে না।
কারণ দুবাইয়ে আইসিসি যে উইকেট বানাবে সেটি হবে ব্যাটসম্যানদের স্বর্গরাজ্য। তাই বোলিং উইকেটে খেলে তাদের বিশ্বকাপ দল যেন বিভ্রান্ত না হয় তাই এই সিদ্ধান্ত।
অন্যদিকে বাংলাদেশ তামিমকে বাদে শক্তিশালী দলই পাচ্ছে নিউজিল্যান্ডের সিরিজে। দলে ফিরছে লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য স্কোয়াড:
নাঈম শেখ, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ মিঠুন, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, শেখ মেহেদী হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ।