ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। কখন যে কি হয়, বলা মুশকিল। জেতা ম্যাচও হাতছাড়া হয়। আবার হারা ম্যাচও জিতে যাওয়া যায়। এরই নাম ক্রিকেট।







ভাগ্য দেবতা কখন সঙ্গ দেবে কেউ জানেনা। চলতি আইপিএলে (IPL) অন্যতম সেরা ম্যাচ দেখল ক্রিকেটপ্রেমীরা।
টানটান উত্তেজনা, পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকল ম্যাচের ভাগ্য। জেতা ম্যাচও হেরে বসল পঞ্জাব কিংস। আর হেরে যাওয়া ম্যাচ জিতল রাজস্থান রয়্যালস (Rajasthan Royals)।
পঞ্জাব কিংসের (Punjab Kings) জয়ের জন্য শেষ ওভারে দরকার ৪ রান। ক্রিজে দুই সেটলড ব্যাটসম্যান। নিকোলাস পুরান আর এইডেন মার্করাম।







ডাগ আউটে হাসি মুখে লোকেশ রাহুলরা। বল করতে গেলেন তরুণ পেসার কার্তিক ত্যাগী (Kartik Tyagi)। শেষ ওভারে দিলেন মাত্র ২ রান। নিলেন ২ উইকেট।
অবিশ্বাস্য। একটা দল ম্যাচ হেরে বিশ্বাস করতে পারছে না। আরেকটা দলের সমর্থকরা হারা ম্যাচ জিতেও বিশ্বাস করতে পারছে না। পুরোটাই যেন স্বপ্নের মতো। যে স্বপ্নের ফেরিওয়ালা হয়ে থাকলেন কার্তিক ত্যাগী।
টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাঞ্জাব কিংস। পাঞ্জাবের জার্সিতে এ দিন ৩ ক্রিকেটারের অভিষেক হয়। বাংলার ঈশান পোড়েল, আদিল রাশিদ এবং এইডেন মার্করাম।
শুরু থেকেই মারমুখী মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকে রাজস্থান রয়্যালস (Rajasthan Royals)। এভিন লুইস-যশস্বী জসওয়াল ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৫৪ রান। ২১ বলে ৩৬ করেন লুইস।







ব্যর্থ হন রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। ৪ রান তাঁকে আউট করেন ঈশান পোড়েল। ১৭ বলে ঝোড়ো ২৫ রান করেন লিভিংস্টোন। ৪৯ করেন যশস্বী।
মহিপাল লোমরোরের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে বড় রান করে রাজস্থান রয়্যালস। ১৭ বলে ৪৩ করেন লোমরোর। ২০ ওভারে ১৮৫ রান করে রাজস্থান রয়্যালস। ৫ উইকেট নেন আর্শদীপ সিং। ৩ উইকেট নেন সামি।
১৮৬ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে বিধ্বংসী ব্যাটিং করতে থাকেন মায়াঙ্ক-রাহুল জুটি। রাহুল-মায়াঙ্ক ওপেনিং জুটিতে উঠল ১২০ রান। ৪৯ করলেন লোকেশ রাহুল।
পঞ্জাব অধিনায়কের বেশ কয়েকটা ক্যাচ ফেললেন রাজস্থানের ফিল্ডাররা। ৪৩ বলে ৬৭ রানের ঝকঝকে ইনিংস মায়াঙ্কের। নিকোলাস পুরান আর এইডেন মার্করামের তৃতীয় উইকেটের জুটিতে উঠল ৫৭ রান।







তবে জয়ের পরেও বিশ্বাস করতে করতে পারেনি রাজস্থানের অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন। ম্যাচ জয়ের পর নিজের প্রতিক্রিয়া জানান অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন।
তার নিজের কাছেই হাস্যকর লেগেছিলো যখন তিনি বিশ্বাস করতেন যে ম্যাচ টি তারা জিতবে। মুস্তাফিজ ও ত্যাগি এভাবে বিশ্বাসের প্রতিদান দিবেন সেটাও ভাবনার বাইরে ছিল তার।
এ নিয়ে তিনি বলেন ‘ আমার কাছে হাস্যকর লেগেছিল যখন আমি ভাবছিলাম আমরা জিতবো। মুস্তাফিজ ও ত্যাগি এভাবে বিশ্বাসের প্রতিদান দিবে তা কল্পনাও করিনি।’
শেষ ওভার কেনো কার্তিককে দেওয়া হলো এমন প্রশ্নে স্যামসন বলেন, ‘আসলে তিয়াগী তার ইয়র্কার নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিল। বিশেষ করে ওয়াইড লাইনের ইয়র্কার নিয়ে। আমরা টিম মিটিংয়ে আসলে ওদের দলে শেষ ব্যাটসম্যান পর্যন্ত প্লান তৈরি করে রেখে ছিলাম।’
শেষ ওভারে বাজিমাত রাজস্থান রয়্যালসের। ২ রানে ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলে এক ধাপ এগিয়ে ৫ নম্বরে সঞ্জু স্যামসনরা। ৭ নম্বরেই থাকল পঞ্জাব। মায়াঙ্ক আগারওয়াল, আর্শদীপ সিং সবাইকে ঢেকে দিয়ে ম্যাচের সেরা হন কার্তিক ত্যাগী।






