দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ভিন্ন দুই দেশের হয়ে টেস্ট সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েছেন ইংল্যান্ডের সাবেক ব্যাটসম্যান ব্যালান্স।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বুলাওয়ায়ো টেস্টের চতুর্থ দিন মঙ্গলবার পাঁচ নম্বরে নেমে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন তিনি ১৯০ বলে। চা-বিরতির আগে ৯৯ থেকে বাঁহাতি স্পিনার গুডাকেশ মোটিকে ছক্কায় উড়িয়ে কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পা রাখেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
৩৩ বছর বয়সী ব্যালান্সের এটি পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি। প্রথম চারটি করেন ইংল্যান্ডের হয়ে। ২০১৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ইংলিশদের হয়ে ২৩ টেস্ট ও ১৬ ওয়ানডে খেলার পর লম্বা সময় থমকে ছিল তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার।
গত বছরের ডিসেম্বরে তিনি জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি করেন ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার জন্য। সেই ধারাবাহিকতায় দলে ডাক পেয়ে গত মাসে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে খেলেন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। এবার সাদা পোশাকে খেলতে নেমেই করলেন সেঞ্চুরি।
ভিন্ন দুই দেশের হয়ে টেস্ট খেলেছেন ব্যালান্সকে নিয়ে ১৬ জন। এর মধ্যে দুই দেশের হয়েই সেঞ্চুরির কীর্তি এতদিন ছিল শুধু কেপলার ওয়েসেলসের।
গত শতকের আশির দশকে দক্ষিণ আফ্রিকা যখন বর্ণবাদের কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে নির্বাসিত, ওয়েসেলস তখন খেলতেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে। ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ পর্যন্ত দলটির হয়ে ২৪ টেস্ট খেলে ৪ সেঞ্চুরিতে তিনি করেন ১ হাজার ৭৬১ রান।
পরে নব্বইয়ের দশকের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকার নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে জন্মভূমির হয়ে ১৯৯২ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত ১৬ টেস্টে তিনি এক হাজারের একটু বেশি রান করেন ২ সেঞ্চুরিতে। যার প্রথমটি ১৯৯২ সালে ডারবানে ভারতে বিপক্ষে। পরেরটি দুই বছর পর লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
ইংল্যান্ডের পর এবার জিম্বাবুয়ের হয়ে সেঞ্চুরি করে তিন দশক পর ওয়েসেলসের পাশে বসলেন ব্যালান্স।