টি২০ বিশ্বকাপে হার্দিকের পরিবর্তে ভেঙ্কটেশ আইয়ারের নাম উঠে এলো

আমিরশাহিতে দ্বিতীয় পর্বে আইপিএলে অভিষেক হয়েছে ভেঙ্কটেশ আইয়ারের। তারপরেই ব্যাটিং-বোলিংয়ে ঝলক দেখছে টুর্নামেন্ট। দিল্লির বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে নামার আগে বড়সড় ঘোষণায় মুম্বই কোচ মাহেলা জয়বর্ধনে জানিয়ে দিয়েছিলেন,

হার্দিক পান্ডিয়াকে বল করার জন্য দল মোটেই জোরাজুরি করবে না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। শুক্রবার জয়াবর্ধনে জানিয়েছিলেন, “আইপিএলে ও বল করতে পারবে কিনা, সেটা প্রতিদিন খতিয়ে দেখা হবে।

দেখতে হবে, ও কতটা উন্নতি করছে। তবে এই মুহূর্তে ওঁকে যদি বেশি জোরাজুরি করা যায়, তাহলে ব্যাটিংও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই সমস্ত কিছু বিবেচনা করে ওঁর বোলিংয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”

ঘটনাচক্রে, আমিরশাহি পর্বে প্ৰথম দুই ম্যাচে বাইরে থাকার পরে হার্দিক পান্ডিয়া মুম্বই দলে প্রত্যাবর্তন করেছেন একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে। প্ৰথম পর্বেও বল হাতে দেখা যায়নি হার্দিককে।

আর এই বিষয়টিই ভাবাচ্ছে ইন্ডিয়ান টিম ম্যানেজমেন্টকে। বিশ্বকাপে হার্দিককে স্কোয়াডে রাখা হয়েছে অলরাউন্ডারের কোটায়। তবে হার্দিক বল করতে না পারলে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে পরিবর্তন ঘটতে পারে। এমনটাই সূত্রের খবর। আর সেক্ষেত্রে কেকেআরের অলরাউন্ডার ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে হার্দিকের সম্ভাব্য পরিবর্ত হিসাবে ভাবা হচ্ছে।

আইপিএলে কেকেআরের জার্সিতে অভিষেকের পরে স্বপ্নের ছন্দে রয়েছেন আইয়ার। পাঁচ ম্যাচেই ১৯৩ রান তাঁর নামের পাশে। মিডিয়াম পেস বোলার হিসেবেও তিনটে উইকেট দখল করেছেন।

আন্দ্রে রাসেলের অনুপস্থিতিতে ডেথ ওভারেও বোলিং করেছেন তারকা। আর আইয়ারের দুরন্ত ফর্মে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন স্বয়ং সুনীল গাভাসকার।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় নিজের লেখা কলামে সানি লিখেছেন, “কেকেআর ভেঙ্কটেশ আইয়ারের মধ্যে এমন এক সুপ্ত প্রতিভার সন্ধান পেয়েছে যে ব্যাট এবং বল দুটোই করতে পারে।

ভারত যে অলরাউন্ডার খুঁজছে, তা হয়ে উঠতে পারে আইয়ার। ও মোটেই এক্সপ্রেস গতির বোলার নয়। তবে ও ইয়র্কার যেমন ঠিকঠাক দিতে পারে, তেমন ব্যাটসম্যানকে স্লগ করার কোনও সুযোগই দেয়না।

ব্যাটসম্যান হিসেবে ও আবার সোজাসুজি খেলে। যাতে শর্ট বল খেলার সময় ও যথেষ্ট সময় পেয়ে যায়। অন্যান্য বাঁ হাতিদের মত ও দুর্ধর্ষ অফড্রাইভও হাঁকায়।” গাভাসকারের সঙ্গেই আইয়ারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। শুক্রবারই কেকেআর কোচ বলেছেন

“কোনও সন্দেহ নেই ভেঙ্কটেশ আইয়ার একজন দারুণ অলরাউন্ডার। শুধু ক্রিকেটীয় দক্ষতাই নয়, ওঁর ক্রিকেট মস্তিষ্ক, মানসিকতা- সবই তুখোড়। দূরদর্শীসম্পন্ন অলরাউন্ডার হয়ে ওঠার যাবতীয় গুণ ওঁর রয়েছে।

যত দিন যাবে ও আরও উন্নতি করবে। ও প্রমাণ করেছে ক্রিকেটের এই পর্যায়ে ও খেলতে পারে।” আইসিসি নিয়ম অনুযায়ী, ঘোষিত স্কোয়াডে পরিবর্তন করার ডেডলাইন ১০ অক্টোবর। ২৪ অক্টোবর ভারত টি২০ বিশ্বকাপে অভিযান শুরু করছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *