পরিবর্তনের হাওয়া সর্বত্রই; ক্রিকেটও তার ব্যতীক্রম নয়। প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে ক্রিকেটীয় রঙ ঢঙ। আগেকার সময়ে টেস্ট ক্রিকেটই ছিলো ক্রিকেটের প্রাণ; এরপরে এসেছে ওয়ানডে, ক্রমান্বয়ে টি-টোয়েন্টি কিংবা টি-১০।







দিনে দিনে বেড়েছে উন্মাদনা, জমেছে ক্রিকেট মাঠের কলরব। তবে নিয়মেও এসেছে অনেক পরিবর্তন, উন্নত ক্যামেরা প্রযুক্তি কিংবা নতুন নতুন ভ্যারিয়েশনে বোলিং, ফিল্ডিং কিংবা শট সিলেকশন।
নতুন নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্ট ক্রিকেটকে করেছে আরও প্রাণবন্ত। এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগের মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয় হিসেবে ধরা হয় বিগব্যাশ এবং আইপিএলকে। তবে আজকের বিষয়টা সেরকম নয়; বিষয়টা হচ্ছে, কেমন হতো যদি ৫ টি নতুন নিয়ম আসতো টি-টোয়েন্টি তে?
আজ আমরা ৫ টি নতুন নিয়ম নিয়ে কথা বলবো যেগুলো প্রণয়ন করা হলে আরও চমকপ্রদ হবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট।







যে ৫ টি নতুন নিয়ম জনপ্রিয় করে তুলবে টি-২০ ক্রিকেটকেঃ
১. ১০০ মিটারের বেশি উচ্চতার ছক্কায় ৮ রান
আমরা জানি, বল ওভার বাউন্ডারি হলে তাকে ৬ রান হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা জানতে পারি কোন ছক্কা কতো মিটার উচ্চতায় গিয়েছে।
ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, ডি ভিলিয়ার্স, ধোনী, ম্যাক্সওয়েলরা অনেক লম্বা লম্বা লম্বা ছক্কা উপহার দিয়েছেন ভক্তদের। তাই ৬ যদি ১০০ মিটারের ওপরে হয় তাহলে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে টি-২০ ক্রিকেটে। এতে করে সুবিধা পাবেন হার্ডহিটাররা। তাই এই নিয়ম প্রণয়ন করা সময়ের দাবী।
২. একজন বোলারকে দিয়ে ৪ ওভারের অধিক বল করানো
আমরা সকলেই জানি টি-২০ ক্রিকেটে একজন বোলার ৪ ওভার বল করার সুযোগ পান। কিন্তু তার ২৪ বলে তিনি সকল কিছু পরিবর্তন করার সুযোগ পান না। কোনো ব্যাটসম্যান যদি ফর্মে থাকেন তাহলে তিনি ভালো বোলারের চার ওভার সাবধানে খেলে বাকী সময়ে নিজের সুবিধামতো রান গুছিয়ে নিতে পারেন।
এতে করে বোলারদের নিজের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগটা থাকে কম। তাই, বোলারদের যদি ৪ ওভারের বেশি বল করানো হয় তাহলে খেলার জমজমাট প্রহরগুলো আরও বেশি তীক্ষ্ণ হবে বলে ধারণা ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের।







৩. খেলার মধ্যভাগে খেলোয়াড় পরিবর্তন
খেলার মধ্যভাগে খেলোয়াড় পরিবর্তনের নিয়ম আমরা দেখেছিলাম বিগ ব্যাশ লীগে। যাকে এক্স ফ্যাক্টর প্লেয়ার বলা হতো। ১০ম ওভারে গিয়ে প্রতি দল একজন করে ক্রিকেটারকে বদলাতে পারবে, ম্যাচের আগে টিম শিটের দ্বাদশ বা ত্রয়োদশ ব্যক্তি থেকে একজনকে দলের প্রয়োজন মতো নামাতে পারবে দলগুলি।
তবে শর্ত হচ্ছে, যার বদলি হিসেবে এক্স-ফ্যাক্টরকে নামানো হবে, তিনি তখনও ব্যাটিং করেননি অথবা ১ ওভারের বেশি বোলিং করেননি, হতে হবে এমন। এরকম টা হলে টি-২০ হবে আরও জনপ্রিয়।
৪. স্লো ওভার রেটে ৫ রান কর্তন
স্লো ওভার রেট ক্রিকেটে এখন হরহামেশাই ঘটে থাকছে। খেলা শুরু সময় ফিল্ডিং দলকে একটা সময় বেঁধে দেয়া হয়, সে সময় পার হলে গেলে স্লো ওভার রেটের জন্য জরিমানা করা হয়। কিন্তু সে জরিমানা টা যদি তৎক্ষনাৎ মাঠেই দেয়া হয়! অর্থাৎ ৫ রান জরিমানা।







হ্যাঁ, ৫ রান জরিমানা করা হলে সবাই সতর্ক হবে। এতে করে স্লো ওভার রেট তো কমবেই, ক্রিকেটও হবে অধিকতর উন্নত।
৫. গোল্ডেন ওভার
ব্যাটিং দল বিশ ওভারের মধ্যে যে কোনো এক ওভারকে ‘গোল্ডেন ওভার’ হিসেবে গ্রহণ করতে পারবেন। সেই ওভারে যতো রান হবে (অতিরিক্ত সহ) তার দ্বিগুণ রান যুক্ত হবে স্কোরবোর্ডে।
ব্যাটিং দলকে ইনিংস শুরুর আগেই নির্ধারণ করতে হবে কোন ওভারে তারা গোল্ডেন ওভার নেবেন। এই গোল্ডেন ওভার নিয়ম টি-২০ কে করবে আরও বেশি প্রতিযোগিতাপূর্ণ।






