শুরুতেই ধাক্কা খেয়েও ঘুরে দাঁড়াল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। শুধু ঘুরে দাঁড়ালই না, শ্রীকর ভরত ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের দুর্দান্ত ব্যাটিং জেতাল বিরাটের আরবিসিকে।







দুবাইয়ের মাঠে টসে জিতে শুরুতে পন্থের দিল্লি ক্যাপিটালসকে ব্যাটিং করতে পাঠান আরসিবি ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি। আরসিবির বোলাররা ১৬৪ রানে আটকে দেয় পন্থের দিল্লিকে।
আর শেষ ওভারের থ্রিলারে ম্যাচ জেতার পাশাপাশি ২ পয়েন্ট তুলে নিয়ে ধোনির চেন্নাইয়ের সমান পয়েন্ট অর্জন করলেও তিনে থেকেই লিগ পর্বের খেলা শেষ করল বিরাটের আরসিবি।







দুবাইতে আজ শুরুটা বেশ ভালো করেছিল দিল্লির ওপেনিং জুটি। আরসিবির বোলারদের রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছিল পৃথ্বী-শিখরদের আটকাতে।
উইকেটের খোঁজে থাকা আরসিবিকে ১১ ওভারের প্রথম বলেই সাফল্য এনে দেন যুজবেন্দ্র চাহাল। হাফসেঞ্চুরির কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন দিল্লির ওপেনার শিখর ধাওয়ান। কিন্তু হর্ষল হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করতে দিলেন না তাকে (৪৩)।
পরের ওভারেই ফের দিল্লিকে ধাক্কা দেয় আরসিবি। দিল্লির আর এক ওপেনার পৃথ্বী শ-কেও (৪৮) হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায় থেকে ফেরান যুজবেন্দ্র চাহাল।







ব্যাট হাতে আজ চমক দেখাতে পারেননি দিল্লির নেতা পন্থ। মাত্র ১০ রান করেই ড্যান ক্রিশ্চিয়ানের শিকার হন ঋষভ। শিমরন হেটমায়ারের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন শ্রেয়স আইয়ার।
১৮ ওভারে মহম্মদ সিরাজ ভেঙে দেন হেটমায়ার-আইয়ার জুটি। ১৮ রান করে মাঠ ছাড়েন দিল্লির প্রাক্তন নেতা শ্রেয়স। ৩৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন শিমরন হেটমায়ার ও শ্রেয়স আইয়ার।
শেষ ওভারে সিরাজের হাতেই বল তুলে দেন ভিকে। শেষ ওভারের শেষ বলে বিরাট কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন হেটমায়ার।
রান তাড়া করতে নেমে মোটেও ভালো শুরু করতে পারেনি বিরাটের আরসিবি। দিল্লির ওপেনিং জুটি যতটা জমাট ছিল, ঠিক তার উল্টোটা হয়েছে আরসিবির ক্ষেত্রে।







প্রথম ওভারেই দেবদত্ত পাড়িক্কালের উইকেট তুলে নেন দিল্লির এনরিক নর্টজে। শূন্যতেই সাজঘরে ফেরেন দেবদত্ত। দেবদত্ত ফিরলেও ক্রিজে ছিলেন বিরাট। কিন্তু নামের পাশে মাত্র ৪ রান নিয়ে আউট হন কোহলি।
দিল্লিকে দ্বিতীয় উইকেটও এনে দেন এনরিক নর্টজে। দুই উইকেট হারানোর পর আরসিবিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন শ্রীকর ভরত ও এবি ডি ভিলিয়ার্স। এই জুটির ৪৯ রানের পার্টনারশিপের পর তৃতীয় ধাক্কা খায় আরসিবি। অক্ষর প্যাটেল বল হাতে নিয়ে এবিডির উইকেট তুলে নেন।
২৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি। এবিডি ফেরার পর ক্রিজে আসেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ১০ ওভারের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে এই জুটি আরসিবিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন।
১৪ ওভারের প্রথম বলে ও পাঁচ নম্বর বলে দু’বার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ক্যাচ মিস করেন শ্রেয়স আইয়ার ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ওই ক্যাচগুলো মিস না হলে আজকের ম্যাচের ছবিটা অন্য হতে পারত।
শেষ ওভারে ৬ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। শেষ বলে সমীকরণ দাঁড়ায় ৫ রানে। ম্যাক্সির সঙ্গে জুটি বেঁধে শেষ বলে ছক্কা মেরে দলকে জেতালেন শ্রীকর ভরত।
৫২ বলে ৭৮ রানে অপরাজিত থাকেন কোনা শ্রীকর ভরত। অন্যদিকে ৩৩ বলে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন অজি তারকা ক্রিকেটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৬৩ বলে ১১১ রানের অপরাজিত ইনিংস দিয়ে ম্যাচ শেষ করেন আরসিবির এই সুপারহিট জুটি।






