চলতি আইপিএলের অতি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে বিরুদ্ধে টসে জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় চেন্নাই সুপার কিংস।
মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে বড় রান খাড়া করে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ বাড়াতে চেয়েছিলেন এমএস ধোনি। সন্ধ্যায় পিচ মন্থর হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় রান তাড়া করে ম্যাচ জেতা মুশকিল হবে বলে মনে করেছিলেন চেন্নাই অধিনায়ক।
এমএস ধোনির সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে শুরু থেকেই চালিয়ে খেলতে শুরু করেন দুই সিএসকে ওপেনার। ফ্যাফ ডু প্লেসি ও ঋতুরাজ গায়েকোয়াড়ের মধ্যে ৭৪ রানের পার্টনারশিপ হয়।
২৫ বলে ৩৩ রান করে আউট হন ঋতুরাজ। চারটি চার ও একটি ছক্কা আসে তাঁর ব্যাট থেকে। ওপেনিং পার্টনারকে হারিয়েও থেমে যায়নি ডু প্লেসির ব্যাট। কেকেআরের পর আরসিবি-র বিরুদ্ধেও অর্ধশতরান আসে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়কের ব্যাট থেকে।
দ্বিতীয় উইকেটে ডু প্লেসি ও সুরেশ রায়নার মধ্যে ২৭ রানের পার্টনারশিপ হয়। চলতি আইপিএলের সর্বাধিক উইকেট সংগ্রাহক হর্ষল প্যাটেলের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান রায়না।
তাঁর ১৮ বলে ২৪ রানের ইনিংস একটি চার ও তিনটি ছক্কা দিয়ে সাজানো। ওই ওভারেরই পরের বলে ক্যাচ আউট হয়ে আচমকাই সিএসকে-র ওপর চাপ বাড়িয়ে দেন ফ্যাফ ডু প্লেসি। পাঁচটি চার ও একটি ছক্কা সহযোগে ৪১ বলে ৫০ রান করেন প্রাক্তন প্রোটিয়া অধিনায়ক।
পরপর দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় সিএসকে। পরিস্থিতি আরও কঠিন হতে পারত, যদি আরসিবি-র ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে রবীন্দ্র জাদেজার ক্যাচ ধরে ফেলতেন ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ান।
কিন্তু সেই ক্যাচ ফেলে উল্টে ফের দলের ওপর চাপ ফিরিয়ে দেন আরসিবি অল রাউন্ডার। চাপ কাটিয়ে ব্যাট চালিয়ে খেলতে শুরু করেন রবীন্দ্র জাদেজা ও আম্বাতি রায়ডু। ৭ বলে ১৪ রান করে আউট হন রায়ডু।
একটি ছক্কা ও একটি চার আসে তাঁর ব্যাট থেকে। শেষ বেলায় ২৮ বলে ৬২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন রবীন্দ্র জাদেজা। শেষ ওভারে পাঁচটা ছক্কা হাঁকান জাড্ডু। শেষ ওভারে ৫ ছক্কা ও ১ চারে নেন ৩৭ রান। 6 6 N6 6 2 6 4।
ক্রিকেট বিশ্বে এইটি এক ওভারে সর্বোচ্চ রান এবং আইপিএলেও এর আগে এক ওভারে ৩৬ রান নিয়েছিল ক্রিস গেইল। আরসিবি-র হয়ে ৩ উইকেট নেন হর্ষল প্যাটেল। এক উইকেট নেন যুজবেন্দ্র চাহাল।