কোহেলি-রোহিত নিজেদের ক্যারিয়ারে এত অর্থহীন ম্যাচ আর আগে কখনো খেলেনি

ভারতীয়রা এখন পেছনে ফিরে নিশ্চয়ই আক্ষেপে পুড়ছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই ১০ উইকেটে হার—টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের সব পরিকল্পনা নিশ্চয়ই এলোমেলো করে দিয়েছিল ভারতের।

পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে কোথায় দল ঘুরে দাঁড়াবে, উল্টো ভারত খেলল বাজে ক্রিকেট। কিউই বোলারদের সামনে রীতিমতো অসহায় দেখাল ভারতীয় দলকে।

রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুলরা নিজেদের ব্যাটিংটাই ভুলে গেলেন। ঋষভ পন্ত, হার্দিক পান্ডিয়ারা খেললেন যাচ্ছেতাই। পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড—দুই ম্যাচেই ভারতীয় বোলাররা থাকলেন এলোমেলো।

মোহাম্মদ শামি, যশপ্রীত বুমরাহ, রবীন্দ্র জাদেজারা পড়ে রইলেন নিজেদের সেরাটার চেয়ে অনেক পেছনে। তৃতীয় ম্যাচ থেকে ভারত ছন্দে ফিরল, আফগানিস্তান, স্কটল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়েই জয় তুলে নিল।

রোহিত, রাহুল, পন্ত, পান্ডিয়ারা ফর্মে ফিরে ইঙ্গিত দিলেন প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দেওয়ার। কিন্তু ততক্ষণে যে অনেক দেরি হয়ে গেছে।

নিউজিল্যান্ড–আফগানিস্তান ম্যাচে গোটা ভারত আফগানিস্তানের দিকে তাকিয়ে ছিল। তাদের প্রার্থনা ছিল আফগানিস্তান নিউজিল্যান্ডকে হারাক। কিন্তু এভাবে কী হয়! নিজেদের হাত থেকে নিয়ন্ত্রণ যে পাকিস্তান আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পরপরই হারিয়ে ফেলেছে ভারত।

অন্যের জন্য প্রার্থনা করে করে আর কত! সুপার টুয়েলভে নিজেদের গ্রুপে প্রথম দুই ম্যাচ হারের মধ্য দিয়ে নিজেদের সামর্থ্যের সম্ভাবনাও হারিয়ে ফেলেছিল ভারত। সেমির আগে বিদায় নিয়ে আজ নিশ্চয়ই গোটা ভারতীয় দল তাদের সাবেক পেসার জহির খানের সেই উক্তিটি মনে করবে।

একটি বিখ্যাত ক্রিকেট ওয়েবসাইটকে কিছুদিন আগে বলেছিলেন, ‘ক্রিকেট খেলাটা হচ্ছে এমন একটা খেলা, যেখানে ছোট ছোট ব্যাপার আর মুহূর্তই পার্থক্য গড়ে দেয়। সেই ছোট ছোট মুহূর্তগুলো হেলায় হারিয়ে ফেললে আক্ষেপের সীমা থাকবে না। ওই মুহূর্তগুলো যে আর ফেরানো সম্ভব হয় না।’

নামিবিয়ার বিপক্ষে আগামীকাল ভারতের শেষ ম্যাচটি এখন কেবলই নিয়ম রক্ষার। কোহলি–রোহিতরা নিজেদের ক্যারিয়ারে এত অর্থহীন ম্যাচ বোধ হয় আর খেলেননি। এই ম্যাচের আগে অনুশীলন করারও কোনো কারণ তাঁরা খুঁজে পাচ্ছেন না। পাওয়ার কোনো কারণও নেই। তাঁদের চিন্তাজুড়ে এখন জহির খানের সেই উক্তিই। ছোট ছোট মুহূর্তগুলো হারিয়ে ফেললে…।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *