কোহলি এর মতে এক মাত্র যার ভরসাতে টি-২০ বিশ্বকাপ জিতবে ভারত

আগে থেকেই তাঁদের মেন্টর ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনিই। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যে তরুণ ক্রিকেটাররা খেলবেন, তাঁরাও ধোনির টিপস পাবেন।

যা তাঁদের ম্যাচ সংক্রান্ত জ্ঞান আরও বাড়িয়ে তুলবে। এমনটাই জানালেন ভারতীয় পুরুষ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। সেইসঙ্গে তাঁর দাবি, ড্রেসিংরুমে ধোনি থাকার ফলে দলের মনোবল আরও বাড়বে।

শনিবার কোহলি বলেন, ‘আমাদের কেরিয়ারের শুরু থেকেই ও (ধোনি) আমাদের সকলের মেন্টর ছিল। দলের সঙ্গে আমরা যতদিন খেলেছি, ততদিন মেন্টর ছিল ধোনি। আমরা আবার সেই একই কাজ করার সুযোগ পেয়েছি।’

সঙ্গে যোগ করেন, ‘যে তরুণরা নিজেদের কেরিয়ারের গোড়ার দিকে বড় টুর্নামেন্ট খেলছে, তারা ধোনির বাস্তবসম্মত তথ্য, খেলা কোনদিকে গড়াচ্ছে ও কীভাবে আমরা আরও উন্নতি করতে পারি, সেই সংক্রান্ত খুঁটিনাটি তথ্য পেয়ে লাভবান হবে। ’

এমনিতে বরাবরই ধোনি এবং কোহলির রসায়ন ভালো। ২০১৭ সালে ধোনি ক্রিকেটের সব ফর্ম্যাটের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর পুরোপুরি টিম ইন্ডিয়ার দায়িত্ব নেন কোহলি।

ধোনির উপস্থিতিতেই ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কোহলি। এবার অবশ্য মাঠে কোহলির পাশে থাকবেন না ধোনি। মাঠের বাইরে থেকেই ‘চিকুকে’ বিভিন্ন টিপস দেবেন।

বিরাট বলেন, ‘এই পরিবেশে ওকে ফিরে পেয়ে আমরা খুব আনন্দিত হয়েছি। ওর উপস্থিতি নিশ্চিতভাবে দলের মনোবল বাড়িয়ে তুলবে। দল হিসেবে আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে, তা আরও বাড়িয়ে তুলবে ধোনির উপস্থিতি।’

২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের প্রভাব

বিরাট জানান, ২০০৭ সালে ধোনি যখন জোহানসবার্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তুলে নিয়েছিলেন, সেই মুহূর্তটা তাঁর কেরিয়ারে বড়সড় প্রভাব ফেলেছে।

বিরাট বলেন, ‘বড়সড় প্রভাব (পড়েছিল)। সেইসময় কেউ ঠিক সেভাবে টি-টোয়েন্টির বিষয়ে জানতেন না। সেই জয়ের পর আইপিএল আসার ফলে খেলা পুরোপুরি পালটে গিয়েছে।’

৩২ বছরের ভারতীয় অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের খুব ভালোভাবে মনে আছে যে এই তরুণ ভারতীয় দলকে বিশ্বস্তরে সাফল্য অর্জন করতে দেখেছিলাম। আমরা সেই প্রভাবটা বুঝেছিলাম। যা খুব স্পেশাল এবং অনুপ্রেরণামূলক ছিল। তা বাড়তি মনোবল জুগিয়েছিল। বিশ্বাস এসেছিল যে আমিও কম বয়সে সর্বোচ্চ পর্যায়ে যেতে পারি এবং খেলতে পারি।’

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *