সাকিব আল হাসানকে দল থেকে ছেড়ে দেওয়ার পরে আবার দলে টেনে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ঘরের ছেলেকে আবারও ঘরে ফেরানোর জন্য কলকাতা কতটা মরিয়া হয়ে উঠেছিল সেটা জানিয়েছেন, দলটির বিশ্লেষক এ আর শ্রীকান্ত।
আইপিএলে সাকিবের যাত্রা শুরু হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সে। ২০১১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কলকাতায় ছিলেন সাকিব। তারপর কলকাতা তাকে ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু নতুন ঠিকানা খুঁজতে বেগ পেতে হয়নি সাকিবকে।
এই অলরাউন্ডারকে দলে টেনে নিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। দুই বছর দলটিতে খেলার পরে ক্রিকেট থেকে এক বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞায় পড়েন সাকিব এবং তাকে ছেড়ে দেয় হায়দরাবাদ।
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২০২১ আইপিএল সিজনে নিলামে কাড়াকাড়ির মধ্যে পড়েন সাকিব। কলকাতা ও পাঞ্জাব কিংস তাকে নিয়ে বাজি ধরে এবং শেষ পর্যন্ত কলকাতায় আবার তাকে দলে ভেড়ায়। তারপর তাকে কলকাতা নিলামের জন্য আবার ছেড়ে দেয়।
আবার ২০২৩ আইপিএলের জন্য কলকাতা তাকে নিলাম থেকে আবার দলে ভিড়ায়। সাকিবকে দলে নিতে মুখিয়ে ছিল কলকাতা এবং সেই পরিকল্পনা আগের থেকেই করা ছিল বলে জানান শ্রীকান্ত।
শ্রীকান্ত বলেন সাকিবকে তারা দলে নেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে পড়েছিলেন কারণ এই অলরাউন্ডার একাই দলটির তিন জন বিদেশি ক্রিকেটারের অভাব পূরণ করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
শ্রীকান্তের ভাষ্যমতে, স্পিনার সুনীল নারাইন, অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল ও ব্যাটসম্যান গুরবাজের ভূমিকা সাকিব একাই পালন করতে পারবেন। সেই সামর্থ্য সাকিবের আছে।
কলকাতার এই বিশ্লেষকের ভাষ্যমতে বোঝা যায়, নারাইনের ওপর দলটির আর আগের মতো ভরসা নেই। এই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারের ইঞ্জুরি ও ফর্মহীনতায় এইজন্য দায়ী।