পরপর দুই ম্যাচে হেরে আত্মবিশ্বাসে অনেকটা ধাক্কা খেয়েছে কেকেআর। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং বিরাট কোহলির আরসিবি যোগ্যতার বিচারে নাইট রাইডার্স দলের তুলনায় অনেকটা এগিয়ে তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু এদিন চ্যালেঞ্জটা একটু অন্যরকম ছিল। শাহরুখ খানের নিজের শহরে তাঁর দল বাদশার সম্মান রাখতে পারে কিনা সেটাই দেখার ছিল।
তাই এদিনের ম্যাচে কার্তিক, রাসেলদের যে অতিরিক্ত মোটিভেশন নিয়ে নামার কথা সন্দেহ ছিল না। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে কেকেআরের রেকর্ড অত্যন্ত খারাপ। সেই পুরনো ইতিহাস বদলানো যায় কিনা দেখার ছিল সেটাও। বুধবার টস জিতে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেকেআর।
অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান আশা করেছিলেন দলে সুনীল নারিন এবং কমলের নাগারকোটি ফিরে আসায় বোলিংয়ের ধার বাড়বে। কিন্তু কোথায় কী? উল্টে দুই ওপেনার ফাফ ডু প্লেসি এবং ঋতুরাজ গায়কোয়াড় দুর্দান্ত শুরু করলেন। নারিন, বরুণ চক্রবর্তী, প্যাট কামিন্স, রাসেলদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে চেন্নাই ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকলেন দুজনে। ১৩ ওভার এর মাথায় ১১৫ রানে আউট হলেন ঋতুরাজ। বরুণ চক্রবর্তীর বলে ক্যাচ ধরলেন প্যাট কামিন্স। ঋতুরাজ করলেন ৬৪।
মাঝে বেশ কিছুদিন রান পাচ্ছিলেন না। চেন্নাই অধিনায়ক এবং কোচ জানিয়ে দিয়েছিলেন তরুণ ব্যাটসম্যানের ওপর ভরসা হারাতে রাজি নন তাঁরা। ঋতুরাজ আজ মর্যাদা দিলেন। তিন নম্বরে ব্যাট করতে এলেন মঈন আলি।মঈন ফিরে গেলেন ২৫ করে। এদিন নিজেকে চার নম্বরে তুলে আনলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। সুনীল নারিন চার ওভার বল করে ৩৪ রান দিয়ে নিলেন একটি উইকেট।
নিজের প্রথম দুটো ওভারে ২৫ রান দিলেন কমলেশ। অর্থাৎ দুটি পরিবর্তন এদিন খুব একটা কিছু করতে পারল না নাইট রাইডার্স দলের হয়ে। ধোনি বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি হাঁকালেন। ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন।আউট হলেন ১৭ করে।
অন্যদিকে নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করে ফেললেন ডু প্লেসি। শেষপর্যন্ত ৯৫ রানে অপারাজিত থাকলেন। মুম্বইয়ের ব্যাটসম্যান সহায়ক উইকেটে রান তোলার গতি ক্রমশ বাড়াতে থাকল চেন্নাই। নিঃসন্দেহে প্রথম ইনিংসে হলুদ জার্সিধারীদের ব্যাটিং বিক্রমে চাপে পড়ে যাবে নাইট রাইডার্স। তবে ওয়াংখেড়ে কিন্তু চিপক নয়। এখানে তুলনায় ব্যাটে বল অনেক মসৃণভাবে আসে। তাই কেকেআর নিজেদের সম্মান বাঁচানোর ম্যাচে যদি বড় রান তাড়া করে জিতে বাজিমাত করে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
মুখে নয়, বাইশ গজে শাহরুখ খানের দল আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে পারে কিনা সেটাই দেখার। বিশ্বকাপ জয়ের মাঠে আজ ফিরছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ১০ বছর আগের এক রাতে এই মাঠেই বিশ্ব সেরার শিরোপা উঠেছিল ধোনির দলের মাথায়। আজ নিজের পয়া মাঠে হাসিমুখে মাহি মাঠ ছাড়েন কিনা, নাকি ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান শেষ হাসি হাসেন, উত্তর আর কিছুক্ষণ পর।