প্লে-অফের আশা জাগিয়ে রাখতে গেলে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জিততে হত মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে। আর মঙ্গলবার সেটাই তারা করে দেখাল।







টুর্নামেন্টের ৫১তম ম্যাচে গতবারের চ্যাম্পিয়ন মঙ্গলবার ৮ উইকেটে জয়লাভ করল। আর সেইসঙ্গে শেষ চারে যাওয়ার দরজাও আপাতত রোহিতদের জন্য খোলা রইল। ম্যাচটি শারজায় আয়োজন করা হয়েছিল।
প্রথমে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স মুম্বই রাজস্থান রয়্যালসকে ৯ উইকেটে মাত্র ৯০ রানে আটকে দেয়। টসে জিতে প্রথমে রাজস্থানকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। মুম্বই আজ দুরন্ত বোলিং পারফরম্যান্স করে।







নাথান কুল্টার নাইল, জেমস নিশাম এবং জসপ্রীত বুমরাহ বিপক্ষের শিরদাঁড়া একেবারে ভেঙে দেন।
আর সেই সুবাদেই মাত্র ৮.২ ওভারের মধ্যে মুম্বই এই ম্যাচে জয়লাভ করে। তবে যেটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এই জয়ের কারণে মুম্বইয়ের নেট রান রেটে অনেকটাই উন্নতি হয়েছে।
আজ শুরু থেকেই ঝড় তুলতে শুরু করেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি ১৩ বলে ২২ রান করেন।







তাঁর এই স্বল্প দৈর্ঘ্যের ইনিংসে একটা বাউন্ডারি এবং জোড়া ওভার বাউন্ডারি ছিল। টি-২০ ক্রিকেটে ৪০০ ছক্কার মাইলফলক স্পর্শ করেন। ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম ফরম্যাটে প্রথম ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে এই কৃতিত্ব কায়েম করলেন।
অন্যদিকে কুইন্টন ডি ককের বদলে প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন ইশান কিষান। অধিনায়কের সঙ্গে তিনি আজ ইনিংস ওপেন করেন।
নিজের পছন্দের ব্যাটিং স্লট পেয়েই আবারও ম্যাজিক দেখালেন তিনি। আজ ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন ইশান। তিনি পাঁচটা বাউন্ডারি এবং তিনটে ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন।







এই ম্যাচের আগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস এবং পঞ্জাব কিংস ১০ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে ছিল। তবে এই ম্যাচ জিতে মুম্বই এক ধাক্কায় দুই ধাপ উপরে উঠে এল।
তারা কলকাতা নাইট রাইডার্সের (১২ পয়েন্ট) ঠিক পরেই পঞ্চম স্থানে আপাতত দাঁড়িয়ে রয়েছে। হাতে বল বাকি থাকার পরিসংখ্যানে আইপিএল ইতিহাসে এটা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের দ্বিতীয় বৃহত্তম জয়।
ইতিপূর্বে নাথান কুল্টার নাইল এবং জেমস নিশাম দুজন মিলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে মোট সাত উইকেট শিকার করেছিলেন। চলতি মরশুমে এটাই রাজস্থান রয়্যালসের সর্বনিম্ন স্কোর।






