টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সিরিজ়েই বাজিমাত রোহিত শর্মার। রবিবার ইডেনে নিউজ়িল্যান্ডকে হারিয়ে ৩-০ ফলে সিরিজ় শেষ করলেন নতুন ভারতীয় অধিনায়ক। প্রিয় ইডেনে উপহার দিলেন হাফসেঞ্চুরিও।







সিরিজ়ের সেরা ভারত অধিনায়ক অবশ্য নিজস্ব অবদানকে সে ভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তিনি বরং খুশি কলকাতা নাইট রাইডার্সের নতুন তারকা বেঙ্কটেশ আয়ারের ঝলমলে আত্মপ্রকাশে। সঙ্গে অভিজ্ঞ অফস্পিনার অশ্বিনের প্রত্যাবর্তনও নতুন করে সাহস দিচ্ছে তাঁকে।
রোহিত বেশি খুশি বেঙ্কটেশের বোলিং দেখে। ব্যাট হাতে এমনিতেই তিনি বড় শট নিতে পারেন। কিন্তু বল হাতেও যে বিপক্ষের রান আটকানোর কাজ করতে পারেন তিনি, তার প্রমাণ মিলেছে ইডেনে।







রবিবার তিন ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে এক উইকেট তুলে নেন বেঙ্কটেশ। তাঁকে দিয়ে প্রয়োজনে বল করিয়ে রোহিত কিন্তু অলরাউন্ডারের অভাব মিটিয়ে নিতে পারেন অনায়াসে।
সাংবাদিক বৈঠকে সেই বিষয়ে রোহিতের বিশ্লেষণ, ‘‘বেঙ্কটেশকে দলের সঙ্গে রাখার ইচ্ছে আছে। ওকে নির্দিষ্ট কোনও দায়িত্ব দিতে চাই। ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি ক্রিকেটে ও উপরের দিকে ব্যাট করে। ভারতীয় দলে সেই জায়গায় ওকে ব্যাট করতে দেওয়া সম্ভব নয়। মাঝের সারিতে ব্যাট করার দায়িত্ব নিতে হবে। পাঁচ অথবা ছয় নম্বরে নেমে দলের রানের গতি বাড়ানোর কাজটা বেঙ্কটেশ করতেই পারে।’







নতুন অধিনায়ক প্রশংসা করেছেন বেঙ্কটেশের বোলিংয়েরও। তাঁর কথায়, ‘‘ওর বোলিং দেখে আমি সত্যি খুশি। মনে হল, ভবিষ্যতে কঠিন পরিস্থিতিতে বেঙ্কটেশের হাতে বল তুলে দেওয়া যায়। ম্যাচও জেতাতে পারে। চেষ্টা করব ওকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তোলার। যতটা সম্ভব বেঙ্কটেশের সাহস বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রভাব ফেলা কঠিন। ওর জন্য আরও ম্যাচ অপেক্ষা করছে।’’
বেঙ্কটেশের সঙ্গেই টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে ফিরে এসে অশ্বিন বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি আগের মতোই আগ্রাসী স্পিনার। মাঝের ওভারে উইকেট তুলে বিপক্ষের রানের গতি কমিয়ে দিতে সাহায্য করছেন। সেটাই মুগ্ধ করেছে রোহিতকে।







তিনি বলেছেন, ‘‘আমিরশাহি থেকে এখনও পর্যন্ত কুড়ির ক্রিকেটে দারুণ বল করেছে অশ্বিন। অধিনায়ক সব সময়ই চায় তার কাছে এমন একজন বোলার থাকুক, বিপক্ষকে যে আক্রমণ করতে পারে। অশ্বিন কিন্তু সে রকমই আগ্রাসী বোলার। মাঝের ওভারে উইকেট তুলে বিপক্ষের রানের গতি কমিয়ে দেয়। টি-টোয়েন্টিতে প্রত্যেকটি অধিনায়ক এ রকম একজন বোলার চায় দলে।’’
যোগ করেন, ‘‘অশ্বিন ও অক্ষর দু’জনেই সমান আগ্রাসী। মাঝের ওভারগুলোয় ওদের কাজে লাগানো যায়। ব্যাটারদের উপরে চাপ সৃষ্টি করতে পারে, তাতেই কিন্তু উইকেট আসে।’’






