দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ২২ রানে ২ উইকেট পেয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ভালো বল করলেও জিততে পারেনি তাঁর দল রাজস্থান রয়্যালস।







আজ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষেও একই ভাগ্য মেনে নিতে হলো রাজস্থানকে। মোস্তাফিজ ৩.৩ ওভারে ২৬ রানে নেন ১ উইকেট। সানরাইজার্সের কাছে ৭ উইকেটে হেরে আইপিএলের প্লে অফে ওঠার পথটা কঠিন করে ফেলল রাজস্থান রয়্যালস।
রাজস্থানের ৫ উইকেটে ১৬৪ রান তাড়া করতে নেমেছিল সানরাইজার্স। কখনোই মনে হয়নি ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়তে পারে কেন উইলিয়ামসনের দল।
ওপেন করা জেসন রয়ের ৪২ বলে ৬০ এবং উইলিয়ামসনের অপরাজিত ৪১ বলে ৫১ রানে ভর করে ৯ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় সানরাইজার্স। ১০ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয়ে রাজস্থান। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে সানরাইজার্স।







মোস্তাফিজকে চতুর্থ ওভারে আক্রমণে আনেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। ওই ওভারে দুটি চার হজম করে মোট ৯ রান দেন বাংলাদেশের এ পেসার। এরপর ১৩তম ওভারে তাঁকে ফিরিয়ে আনেন রাজস্থান অধিনায়ক।
সে ওভারে ৫ রান দিয়ে প্রিয়ম গার্গকে ফিরিয়ে উইকেটের দেখাও পান মোস্তাফিজ। ওই ওভার শেষে ৪২ বলে ৪৬ রান দরকার ছিল সানরাইজার্সের। উইকেটে উইলিয়ামসন ও অভিষেক শর্মা। ৩০ বলে ২১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
দুজনের অবিচ্ছিন্ন ৩৩ বলে ৪৮ রানের জুটি শেষ পর্যন্ত ভাঙতে পারেনি রাজস্থান। ১৭তম ওভারে ফিরে মাত্র ৪ রান দেন মোস্তাফিজ। ১৯তম ওভারে সানরাইজার্সের জিততে যখন ১২ বলে মাত্র ৬ রান দরকার তখন মোস্তাফিজকে তাঁর শেষ ওভারটি করার জন্য ফিরিয়ে আনেন স্যামসন।







মোস্তাফিজের তিন বলের মধ্যে উইলিয়ামসনের কাছে দুটি চার হজম করায় হারটা ওই ওভারেই নিশ্চিত হয় রাজস্থানের। মহিপাল লোমরোর ও চেতন সাকারিয়াও ১টি করে উইকেট নেন রাজস্থানের হয়ে।
এর আগে রাজস্থানের হয়ে দারুণ ইনিংস খেলেন স্যামসন। ৩ ছক্কা ও ৭ চারে ৫৭ বলে ৮২ রান করেন তিনি। ২৩ বলে ৩৬ রান করেন যশস্বী জয়সোয়াল। ৩৬ রানে ২ উইকেট নেন সানরাইজার্সের বোলার সিদ্ধার্থ কাউল।
ম্যাচের পর রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন বলেন, “আমি মনে করি এটি একটি ভাল স্কোর ছিল। উইকেট কিছুটা স্টিকি ছিল, তারা ভালো বোলিং করছিল। আমরা আরও ১০-২০ রান পেতে পারতাম। একটি স্টিকি উইকেটে একবার আপনি শুরু করলে আপনাকে চালিয়ে যেতে হবে।”







রাজস্থান এই কাজ না করলে উন্নতি হবে না, হারের পর অদ্ভুত যুক্তি সঞ্জু স্যামসনের নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে স্যামসন বলেন, “আমি পাওয়ারপ্লে -এর পিছনে যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমরা উইকেট হারাতে থাকি, তাই আমি থাকতে চাই এবং একটি অংশীদারিত্ব করতে চাই। আমরা লড়াই করার জন্য একটি সম্মানজনক টোটাল রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সময়সীমার পরে আমরা যা লক্ষ্য করেছি তা আমরা পেয়েছি।”
রাজস্থান এই কাজ না করলে উন্নতি হবে না, হারের পর অদ্ভুত যুক্তি সঞ্জু স্যামসনের শেষে স্যামসন বলেন, “আমাদের বোলিং এবং ব্যাটিং নিয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের প্রতিটি বলে সেরা হতে হবে এবং ভালোভাবে চালাতে হবে। আমাদের মান বাড়ানো দরকার ছিল।”






