আফগানিস্তানকে ৬৬ রানে হারিয়েছে ভারত, বিশ্বকাপে এটাই ছিল ভারতের প্রথম জয়। কিন্তু জয়ের পর ভারত-আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তুলেছেন ভক্তরা।







একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন তুলেছে। ভারত-আফগানিস্তানের ম্যাচের এই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এটি ভারতীয় দলের ব্যাটিং এর একটি ভিডিও। ১১তম ওভারে এটি ঘটেছিল। এই ম্যাচে ভারতের ওপেনার ও ম্যান অফ দ্য ম্যাচ রোহিত শর্মাকে শট মারতে দেখা যায়।
দেখা যায়, এই শট মেরে বল আটকাতে যাচ্ছেন আফগান খেলোয়াড়। কিন্তু বল বাউন্ডারির ওপর দিয়ে চলে যাওয়ায় ভারত পেয়েছে চার রান। এই ভিডিওর পর ভারত-আফগানিস্তানের ম্যাচ ফিক্সড বলে অভিযোগ করেছেন ভক্তরা।







এই ম্যাচে আফগানিস্তানের খেলোয়াড়রা অভিনয় করছেন এবং সমর্থকরা ম্যাচটি ফিক্সড হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। এই ভিডিওতে দেখা যায়, বল আফগান খেলোয়াড়ের কাছাকাছি আসলে তাকে আটকানোর সুযোগ ছিল। এমনকি তিনি তা আটকে দেন। কিন্তু তার পর নিজের হাতে বল বাউন্ডারিতে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ভক্তরা।
ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে ক্রিকেট বোর্ডের সুসম্পর্ক রয়েছে। ভারতও আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এবং তার খেলোয়াড়দের খুব সমর্থন করেছে। তাই কিছু ভক্ত বলছেন যে আফগানিস্তান এই ম্যাচে ভারতকে খুশি করেছে। তাই ভারত ম্যাচ জিতলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রবণতা।







প্রশ্নের শুরুটা হয়েছিল ম্যাচের শুরুতেই। বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর আফগান অধিনায়ক নবী জানিয়েছিলেন, কোন ম্যাচে টসে জিতলে তাদের লক্ষ থাকবে আগে ব্যাটিং। কারণ হিসেবে তখন বলেছিলেন, প্রথমে ব্যাট করে তাদের ব্যাটসম্যানরা একটি বড় সংগ্রহ এনে দিবেন এবং সেটি তাদের বোলাররা ডিফেন্ড করবে।
শুধু বিশ্বকাপ না প্রায় সব ম্যাচে আফগানিস্তান এই নীতি মেনে চলে। টসে জিতলেই তারা আগে ব্যাটিং নেয়। তবে এদিন সুপার টুয়েলভের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টসে জিতেও আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক!







এর পর থেকেই বিস্ময় আর উষ্মা প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছেয়ে ফেলেছেন অনেকেই। এমনকি ম্যাচের টিভি ধারাভাষ্যকাররাও বলাবলি করছিল তারাও বুঝতে পারছেন না কেন ভারতের বিপক্ষে বোলিং নিল আফগানিস্তান! বিশেষজ্ঞদের মতে, বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা পার হয়ে একটু রাত হলেই আবুধাবির মাঠে শিশির পড়া শুরু হয়। ফলে তখন রান তোলাটা একটু কঠিন হয়ে যায়।
তাই ভারতের বিপক্ষে টসে জিতে নবীর বোলিং নেয়ার সিদ্ধান্তকে নেহায়তই বোকামি বলছেন ক্রিকেট ভক্তরা। পরে সময় যত গড়িয়েছে, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মতের মিল খুঁজে পাওয়ায় সেই সব ক্রিকেটভক্তদের অনেককেই ম্যাচটি ‘পাতানো’ বলেও মন্তব্য করেছেন!






