পরপর চারটি নো-বল করে গেলেন একজন বোলার। আর সেটা খেয়ালই করলেন না আম্পায়ার। বৃহস্পতিবার অ্যাসেজের দ্বিতীয় দিনে ঘটল এই ঘটনা। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক।
অ্যাজের শুরু থেকেই টানটান উত্তেজনা চলছে। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডকে ১৪৭ রানে অলআউট করে অস্ট্রেলিয়া। এর পর বৃষ্টির কারণে আর খেলা হয়নি। দ্বিতীয় দিন অস্ট্রেলিয়া ব্যাট করতে নামলে বিতর্কে জড়ালেন বেন স্টোকস। পরপর চারটি নো-বল করে বসেন স্টোকস। আর সেটা খেয়ালই করেননি আম্পায়ার। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক।
অলি রবিনসনের বলে ৩ রান করে মার্কাস হ্যারিস আউট হয়ে যান। ১০ রানে প্রথম উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। তার পর দলের হাল ধরেন ডেভিড ওয়ার্নার এবং মার্নাস ল্যাবুশান। তবে ওয়ার্নার আউট হয়েও বেঁচে যান নো-বলের কল্যাণে।
তখন অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩৭ রান। ব্যাটিং করছিলেন ওয়ার্নার, বোলিং করছিলেন স্টোকস। এই ব্রিটিশ পেসারের ওভারের প্রথম চারটি বলই ছিল নো-বল। কিন্তু প্রথম তিনটি বলে বুঝতেই পারেননি আম্পায়ার। চতুর্থ বলটিতে যখন আউট হন ওয়ার্নার, তখন বিষয়টি নজরে আসে। পরে দেখা যায়, ওভারের প্রথম চারটি বলই নো-বল ছিল।
স্টোকসের এই টানা চার নো-বলের জন্য আম্পায়ারকেই দোষ দিয়েছেন প্রাক্তন অজি অধিনায়ক রিকি পন্টিং। তিনি বলেন, ‘কেউ যদি এগুলো পর্যবেক্ষণ করার পরেও নো-বল না দেয়, তা হলে সেটা খুবই দুঃখজনক। আমার কাছে মনে হয়, এগুলো নো-বলই ছিল। ওভারের প্রথম বলটিই যদি আম্পায়ার ধরিয়ে দিতেন, তা হলে হয়ত স্টোকস নিজেকে শুধরে নিতে পারত।’
অস্ট্রেলিয়ার আম্পায়ার সাইমন টোফেলও মাঠের আম্পায়ারদের এই সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এখন তো প্রযুক্তির সাহায্যে সব বল পর্যবেক্ষণ করার কথা। আমি বুঝতে পারছি না, কেন এই বলগুলো পর্যবেক্ষণ করা হলো না। মাঠের আম্পায়ারদের সাহায্য করার জন্য তো আইসিসির প্রযুক্তিবিদরাও রয়েছেন।’