আইপিএলের মেগা নিলাম বন্ধের পক্ষে অবস্থান নিল কলকাতা নাইট রাইডার্স

ভারতীয় তথা বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ অর্থাৎ আইপিএল। যার সবথেকে বড় আকর্ষণ এই প্রতিযোগিতায় ব্যয় করা বিপুল পরিমাণ অর্থ।

ক্রিকেটার থেকে সাপোর্ট স্টাফ থেকে ম্যাচের আয়োজন সবক্ষেত্রেই এলাহি আয়োজন করা হয় কোটি কোটি টাকা ব্যয়ের মধ্যে দিয়ে। আইপিএলের আরও একটি বড় আকর্ষণ তার মেগা নিলাম।

যার মধ্যে দিয়ে নির্দিষ্ট কয়েক বছর অন্তর অন্তর ফ্রাঞ্চাইজিগুলোকে তাদের দলকে ঢেলে সাজাতে হয়। এবার সেই নিলাম বন্ধের বিষয়ে কার্যত পরোক্ষে সওয়াল করে বসলেন জনপ্রিয় দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং দিল্লি ক্যাপিটালস দলের প্রধানরা।

দিল্লির ফ্রাঞ্চাইজির যৌথ মালিক পার্থ জিন্দাল এবং কেকেআরের সিইও বেঙ্কি মাইসোর মনে করেন এই নিলাম তার ‘ব্যবহারিক’ যৌক্তিকতা হারিয়েছে।

২০২২ সালের আইপিএলকে সামনে রেখে পুরনো ৮টি ফ্রাঞ্চাইজি তাদের ‘রিটেনড’ ক্রিকেটারদের তালিকা ঘোষণা করার পরপরেই তাদের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

২০১১ সালে এই মেগা নিলাম শুরু হয়েছিল। জিন্দাল মনে করেন প্রতি তিন বছর অন্তর দল গড়ার পরে ফের নতুন করে দল গড়া সময় এবং অর্থের অপচয়।

এক সাক্ষাৎকারে ভেঙ্কি মাইসোর জানান, ‘সময় এসেছে যখন আপনাকে প্রশ্ন তুলতে হবে যে, এই নিলামের কতটা যৌক্তিকতা রয়েছে। এই গোটা প্রসেসে এটা কতটা জরুরি। নতুন যেসব ক্রিকেটাররা আসছে তাদের নিয়ে ড্রাফট হোক।

তাদের নিয়ে নিলাম হোক। সমস্ত ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে লোনে খেলানোরও একটা ব্যবস্থা থাকুক। সমস্ত দলকে দীর্ঘ সময়ের জন্য দল গঠনের সুযোগ দেওয়া উচিত। আমাকে প্রশ্ন করলে আমি বলব ১৪ বছর এই লিগ চলার পরে নিলাম তার ব্যবহারিক যৌক্তিকতা হারিয়েছে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমাদের ফ্রাঞ্চাইজি স্কাউটিং, অ্যাকাডেমির ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে তাদের উন্নতিতে। নতুন ক্রিকেটার তুলে আনতে। সেসবেরও একটা পুরস্কার দলগুলোর পাওয়া উচিত।’

পার্থ জিন্দাল অবশ্য আরও কড়া ভাষায় এইসবের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘বিপুল পরিমাণ অর্থ ও সময় ব্যয় করে একটা দল গড়া হয়। তার পরবর্তীতে যদি তিন বছরের মধ্যে তাকে ফের নিলামের মধ্যে দিয়ে দলগঠন করতে হয় তাহলে এটা মানতেই হবে যে এই নিলাম বিপুল পরিমাণ অর্থ ও সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছুই নয়।’

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *