আইপিএলের ইতিহাসে ২য় দল হিসেবে রেকর্ড গড়ে জয় লাভ করলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স

আগে বল হাতে ২ উইকেট, ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩৪ বলে ৮৭ রানের তান্ডব লীলা, তাতেই কুপোকাত চেন্নাই সুপার কিংস। কাইরন পোলার্ডের বিদ্ধংসী ইনিংসে ২১৯ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য দাড় করিয়েও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে তারা হারলো ৪ উইকেটে। যা কিনা আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতিয় সর্বোচ্চ রান তাঁড়া করে জয়ের রেকর্ড।

শুরুতে ব্যাট করে আম্বারি রাইডুর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মুম্বাইকে ২১৯ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিল চেন্নাই। বড় লক্ষ্য তাঁড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করেছিলেন মুম্বাইয়ের দুই ওপেনার। রোহিত শর্মা ৩৪ রানে ফিরলে কুইন্টন ডি কক ফিরেছেন ৩৮ রানে।

তার আগে তারা ৭ ওভারে যোগ করেছিলেন ৭১ রান। সূর্যকুমার অবশ্য ৩ রানের বেশি করতে পারেননি। এরপর ক্রুনাল পান্ডিয়া এসে কিছুটা আক্রমণাত্বক ব্যাটিং শুরু করেছিলেন। কিন্তু ২৩ বলে ৩২ রানের বেশি করতে পারেননি।

হার্দিক পান্ডিয়া ঝড়ের আভাস দিয়েও থেমেছেন ৭ বলে ১৬ রানে। জিমি নিশাম ০ রানে আউট হলে শেষ ওভারে ১৬ রানের লক্ষ্যটাকে একাই পাড় করিয়ে দেন পোলার্ড। চেন্নাইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট স্যাম কারানের।

এদিকে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে আম্বাতি রাইডুর ব্যাটিং তান্ডবে ২১৮ রানের পাহাড়সম পুঁজি পায় চেন্নাই। গত কয়েক ম্যাচে অসাধারণ ব্যাট করা রুতুরাজ গায়কোয়াড় আউট হয়েছেন ৪ রানে। তবে এই ম্যাচেও হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ফাফ ডু প্লেসিস।

তাকে সঙ্গ দিয়েছেন মইন আলী। এই দুজন মিলে যোগ করেন ১০৮ রান। ডু প্লেসিস আউট হয়েছেন ৫০ রানে। আর মইন আউট হয়েছেস ৫৮ রানে। সুরেশ রায়না ২ রানে আউট হলে বাকি সময়টায় তান্ডব চালান রাইডু।

এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান মাত্র ২৭ বলে ৭২ রানের এক বিদ্ধংসী ইনিংস খেলেন। যেখানে ছিল ৪টি চার ও ৭টি ছয়ের মার। যদিও তাকে আউট করতে পারেননি মুম্বাইয়ের বোলাররা। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন।

এ ছাড়া ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। তাতেই নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে ৪ উইকেটে ২১৮ রান তোলে চেন্নাই। মুম্বাইয়ের বোলারদের ব্যর্থতার দিনে একমাত্র কাইরন পোল্ডার্ড নিয়েছেন ২ উইকেট।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *