অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক হিসেব রেকর্ড গড়ে যাত্রা শুরু প্যাট কামিন্সের

অস্ট্রেলিয়ার ৪৭তম টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দুরন্ত ভঙ্গিমায় শুরুটা করলেন প্যাট কামিন্স। গাব্বায় প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডকে নয় উইকেটে ধরাশায়ী করে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ লিড নিয়ে নিলেন অজিরা। চতুর্থ দিনে মধ্যাহ্নভোজের পর পরই নিজেদের জয় সুনিশ্চিত করে কামিন্স বাহিনী।

তৃতীয় দিনের শেষে জো রুট এবং ডেভিড মালানের ১৫০-র অধিক রানের পার্টনারশিপের ২২০ রানের বিনিময়ে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে বেশ ভাল জায়গায় ছিল ইংল্যান্ড। সকলেই আশা করছিলেন যে ম্যাচের শেষ দুই দিন বেশ জমজমাট প্রতিযোগিতা দেখা যাবে।

তবে শুরুতেই মালানকে (৮২) ফিরিয়ে নিজের ৪০০তম টেস্ট উইরকেটটি নেন ন্যাথন লিয়ঁ। এরপরে যেন উইকেটের বন্যা বইতে থাকে। রুটের (৮৯) শতরান তো ছাড়া হয়ই।

পাশপাশি ওলি পোপ (৪), বেন স্টোকস (১৪), জোস বাটলারদের (২৩) নিয়ে গড়া ইংল্যান্ড মিডল অর্ডার, অজি বোলারদের ধারে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে।

চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই ৭৭ রানে আট উইকেট হারিয়ে ২৯৭ রানেই গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস। লিয়ঁ শেষ করেন চার উইকেট নিয়ে। জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ২০ রান তুলতে অজিদের বেশি কসরত করার প্রয়োজন ছিল না। করতেও হয়নি।

মধ্যাহ্নভোজের পরপরই অ্যালেক্স ক্যারির (৯) উইকেট হারালেও মার্কাস হ্যারিস অপরাজিত (৯) থেকে অজিদের নয় উইকেট ম্যাচ জেতান। প্রথম ইনিংসে নিজের শতাধিক স্ট্রাইকে রেট নিয়ে করা ১৫২ রানের সুবাদে ট্রেভিড হেডকেই ম্যাচ সেরা ঘোষণা করা হয়।

ম্যাচের আগে ফাস্ট বোলার অধিনায়ক হিসেবে প্যাট কামিন্স কেমন করবেন, সেই দিকে সকলেই নজর রেখেছিলেন। কামিন্স লেটার মার্কস নিয়ে এই পরীক্ষা উতরালেন। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেটসহ দুই ইনিংস মিলিয়ে তাঁর বোলিং পরিসংখ্যান ৮৯ রানে সাত উইকেট।

অজি অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম ম্যাচে এটাই সেরা বোলিং পারফরম্যান্স। প্রসঙ্গত, ১৯৫৮ সালে রিচি বেনোউও একই মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম ম্যাচে সাত উইকেট পেয়েছিলেন (১১২ রানে সাত উইকেট)।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *