সোমবার (৪ অক্টোবর) গুরু মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীন চেন্নাই সুপার কিংসকে কড়া টক্করের পর হারায় দিল্লি ক্যাপিটালস। এই জয়ের ফলে আইপিএলের প্রথম দুইয়ের মধ্যে দিল্লির থাকা প্রায় পাকা। নিঃসন্দেহে দিল্লির কাছে এই জয় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, যার মাধ্যমে এক অনন্য নজিরও গড়ে ফেলল রাজধানীর ফ্রাঞ্চাইজি।
আইপিএলের ইতিহাসে সফলতম দুই দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং চেন্নাই সুপার কিংস। দুই দলই বরাবর যে কোন প্রতিপক্ষের কাছে যে কোন দিনে শক্ত গাঁট। তাদের হারানো মুখের কথা নয়। তবে দিল্লি পরপর দুই ম্যাচে এই দুই শক্তিশালী দলকে হারিয়েছে। মরুশহরে তো অবশ্যই, এমনকী ভারতে আইপিএলের প্রথমভাগেও এই দুই দলের বিরুদ্ধে ম্যাচে শেষ হাসিটা হাসে দিল্লিই। পন্তের নেতৃত্বাধীন দিল্লি ক্যাপিটালসই আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম দল হিসাবে একই মরশুমে দুই হেভিওয়েটকে হারানোর কৃতিত্ব গড়ল।
মরশুমের শুরুতে শ্রেয়স আইয়ার চোট পাওয়ায় তরুণ ঋষভ পন্তকে দিল্লি ফ্রাঞ্চাইজি অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়ায় অনেকেই ভ্রু কুঁচকেছিলেন। তবে একই মরশুমে নিজের থেকে অনেক বেশি অভিজ্ঞ মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন দলকে দুই ম্যাচেই হারানো নিঃসন্দেহে অধিনায়ক পন্তের মুকুটে বিশাল বড় পালক। এবার প্রথম দিল্লি অধিনায়ক হিসাবে আইপিএল খেতাব তোলাই পন্তের প্রধান লক্ষ্য হবে।
প্রসঙ্গত, এই ম্যাচেই ব্যক্তিগত আরেক নজিরও গড়লেন অধিনায়ক পন্ত। এদিনই পন্থের ২৪তম জন্মদিন ছিল। নিজের জন্মদিনে দলের জয় নিঃসন্দেহে আনন্দদায়ক। তবে পন্ত ছাড়া এই সুখের স্বাদ পেয়েছেন একমাত্র সচিন তেন্ডুলকর। একদশক আগে সচিন মুম্বইয়ের অধিনায়ক হয়ে জয় পাওয়ার এই প্রথম তরুণ পন্তই অধিনায়ক হিসাবে নিজের জন্মদিনে আইপিএল ম্যাচ জিতলেন।
মুম্বই ও চেন্নাইকে পরাস্ত করতে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া অক্ষর প্যাটেলও এক ছোট্ট নজির গড়েছেন এদিন। সিএসকের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত বোলিং করে হলুদ ব্রিগেডের রানকে কখনও নাগালের বাইরে যেতে দেননি বাঁ-হাতি স্পিনার। নিজের চার ওভারে ১৮ রানের বিনিময়ে ফর্মে থাকা ফ্যাফ ডুপ্লেসি এবং মইন আলিকে সাজঘরে ফেরান ভারতীয় স্পিনার। নিজের বোলিংয়ের সুবাদেই ম্যাচ সেরা হিসাবে নির্বাচিতও হন তিনি। অক্ষর প্যাটেলও এক দশক পরে দ্বিতীয় স্পিনার হিসাবে পরপর দুই ম্যাচে সেরা হলেন। এর আগে একই কৃতিত্ব গড়েছিলেন অমিত মিশ্রও। সেই নজিরই ছুঁলেন অক্ষর