বিরাট কোহলির জন্য ৪৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। যাতে নিজে থেকেই একদিনের দলের অধিনায়ক হিসেবে সরে দাঁড়ান বিরাট। কিন্তু তা করেননি। ৪৯ তম ঘণ্টায় রোহিত শর্মার কাছে অধিনায়কত্ব হারিয়ে বসেন বিরাট। যা তাঁর ভাগ্যে লেখা ছিল। সূত্র উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।
এমনিতে বুধবার একেবারে আড়ম্বরহীনভাবে বিরাটকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। এমনকী পৃথকভাবে কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশও করা হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট সিরিজের জন্য দল ঘোষণার বিজ্ঞপ্তিতেই নীচে এক বাক্যে জানানো হয়েছে, আগামিদিনে একদিন এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতের অধিনায়ক হচ্ছেন রোহিত। তাতে বিরাটের নামও নেওয়া হয়নি। সাফল্যের সঙ্গে (পরিসংখ্যান অনুযায়ী) ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ভারতের নেতৃত্ব দিলেও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বোর্ডের তরফে একটা শব্দও খরচ করা হয়নি। টুইটারেও যে ঘোষণা করা হয়, তাতেও বিরাটের নাম নেওয়া হয়নি। রোহিতের ছবি এবং নাম দেওয়া হয়। তাঁকে ট্যাগ করা হয়।
তবে সূত্রের ভিত্তিতে পিটিআই জানিয়েছে, একদিনের ক্রিকেটে যে অধিনায়ক হিসেবে কোহলির সময় শেষ হয়ে এসেছে, তা আগেই লেখা হয়েছিল। বিশেষত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্যায় থেকে ছিটকে যাওয়ার পরই কোহলির ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। তবে ভারতীয় বোর্ড কোহলিকে সম্মানের সঙ্গে বিদায় জানাতে চেয়েছিল। সে পথে হাঁটেননি কোহলি। ভারতীয় বোর্ডকে চরম পদক্ষেপ করার ‘চ্যালেঞ্জ’ ছুড়েছিলেন বলে মনে করছে একটি মহল। সেই ‘চ্যালেঞ্জ’ গ্রহণ করে বিসিসিআই। যে বোর্ডের শীর্ষে এমন একজন আছেন, যিনি এককালে ভারতের অধিনায়ক ছিলেন। ‘বরখাস্ত’ করে দেয় বিরাটকে। যা বিরাটের মেনে নেওয়া ছাড়া কোনও উপায় ছিল না বলে জানিয়েছে পিটিআই।
উল্লেখ্য, পিটিআই জানিয়েছে, অনেকেই এই ঘটনায় অবাক নন। বরং ভারতীয় ড্রেসিংরুমের ধারেকাছে থাকা ব্যক্তিরা একেবারে আলোর মতো ‘গোপন’ বিষয়টা জানতেন যে কোহলি মোটেও দলের সবথেকে জনপ্রিয় ব্যক্তি ছিলেন না। দলের একাংশ ক্রমশ তাঁর থেকে দূরে সরে যেতে থাকেন বলে পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। বছরদুয়েক আগে ভারতীয় ড্রেসিংরুমে কাটানো এক খেলোয়াড়কে উদ্ধৃত করে পিটিআই বলেছেন, ‘বিরাটের ক্ষেত্রে সবথেকে বড় সমস্যা ছিল বিশ্বাসযোগ্যতার বিষয়টি। ও (বিরাট) মুখে স্পষ্ট কথাবার্তার কথা বলে। কিন্তু উপযুক্ত কথাবার্তার অভাবেই নেতা হিসেবে সম্মান হারিয়ে ফেলেছিল।’ পিটিআই জানিয়েছে, আর ঠিক সেখানেই রোহিত খেলোয়াড়দের কাছের হয়ে উঠেছিলেন।